বাসস
  ২৩ জুন ২০২১, ১৪:০০

সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ওয়েম্বলিতে উপস্থিত থাকবেন ৬০ হাজারেরও বেশী সমর্থক

লন্ডন, ২৩ জুন ২০২১ (বাসস) : ইউরো ২০২০‘র সেমিফাইনাল ও ফাইনালে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৬০ হাজারেরও বেশী সমর্থকের প্রবেশের অনুমতি মিলেছে, ব্রিটিশ সরকার মঙ্গলবার এই ঘোষনা দিযেছে। এর মাধ্যমে গ্রুপ পর্বের থেকে ৭৫ শতাংশ বেশী মানুষ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পেলেন। 
একইসাথে এর মাধ্যমে গত ১৫ মাসে ব্রিটেনের কোন ক্রীড়া ইভেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের সমাগম হতে যাচ্ছে। ওয়েম্বলিতে ঐ ম্যাচগুলো দেখতে আসা প্রতিটি টিকিটপ্রাপ্ত সমর্থককে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে থেকেই প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশের পূর্বে ভ্যাক্সিনের পরিপূর্ণ ডোজ নেয়া সনদ অথবা করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করতে হবে। 
আগামী ১১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল আড়াই হাজার ভিআইপি‘র অনুমোদন নিয়ে অবশ্য এখনো কোন সফল আলোচনা হয়নি ব্রিটিশ সরকার, ফুটবল এসোসিয়েশন ও ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার মধ্যে। এ সম্পর্কে ব্রিটেনের কালচারার এন্ড স্পোর্টস সেক্রেটারী অলিভার ডওডেন বলেছেন, ‘সম্ভাব্য সব ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়িয়ে একটি সুন্দর ফাইনাল উপহার দেবার জন্য আমরা উয়েফা ও এফএ‘র সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারী কাটিয়ে আমরা একটি স্বরণীয় ফাইনাল উপহার দিতে চাই।‘
এর আগে ব্রিটেনে আবারো করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ওয়েম্বলি থেকে সড়িয়ে অন্যত্র আয়োজনের একটি গুঞ্জন উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছিল উয়েফা। বরং সব শঙ্কা কাটিয়ে নতুন করে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষনাকে সাধুবাদ জানিয়ে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘শেষ ১৮ মাস আমাদের অনেক কিছুই শিক্ষা দিয়েছে। মাঠ ও মাঠের বাইরে আমরা যা দেখেছি তাতে একটাই কথা মনে হয়েছে সমর্থকরাই ফুটবলের প্রাণ। এই টুর্নামেন্ট আমাদের আরো ভালভাবে জানিয়ে দিল নতুন স্বাভাবিক জীবনে আমরা ফিরতে শুরু করেছি এবং এ পথটা আর থেমে থাকবে না।‘
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিসিয়াল মুখপাত্র এর আগে ভিআইপি অতিথিদের আগমনের বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা জানালেও পরবর্তীতে উয়েফার সাথে এ ব্যপারে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। 
লন্ডনে ম্যাচ তিনটি আয়োজন সম্ভব না হলে সম্ভাব্য বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বুদাপেস্টের পুসকাস এরিনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। ইতালিয়ান প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগি রোমের ব্যপারেও আগ্রহের কথা জানিয়ে রেখেছিলেন। ব্রিটেনে করনো ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে দ্রাগিই মূলত আপত্তি জানিয়েছিলেন। বহুল সংক্রমিত ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যে দেখা দেয়ায় ব্রিটিশ সরকারও কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছে। কিছুদিনের শীথিলতার পর ব্রিটিশ জনগনের ছুটিতে দেশের বাইরে যাবার পর ফিরে এসে কোয়ারেন্টাইানের বাধ্যবাধকতা আবারো জারী করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়