বাসস
  ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩:৪৪
আপডেট  : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

শিশুদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়ার চেয়ে ভাল কর্মসূচি হতে পারে না : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর, ২০২১ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিশুদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়ার চেয়ে ভাল কর্মসূচি আর হতে পারে না।
এ বিষয়টি প্রাথমিকভাবে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও মোটেও তা কঠিন বা দুঃসাধ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমরা আমাদের দায়িত্ব থেকেই এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি’।
মন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে কর্মসূচিটিকে একটি ভিশনারি  কাজ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে  যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন,‘আপনারা একদিন শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রচলিত প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের ঐতিহাসিক স্বাক্ষী হয়ে থাকবেন।’
মোস্তাফা জব্বার আজ রাজধানীতে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে  সুবিধাবঞ্চিত  প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা  ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ প্রকল্পের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটালকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো: আবদুল ওয়াহাব এবং বিজয় ডিজিটাল’র প্রধান নির্বাহি জেসমিন জুই বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন,‘ শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য দীর্ঘ তিন যুগব্যাপি কাজ করে যাচ্ছি। ১৯৯৯ সালে গাজীপুরে ১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের যাত্রা শুরু করি, যা এখন সারা দেশে বিস্তৃত হয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তার দীর্ঘ পথ চলার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের সবচেয়ে বড় দ’ুটি প্রতিবন্ধকতা হলো ডিভাইস এবং কনটেন্ট। গত ১২ বছরে বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহি কনটেন্ট বিষয়ক চ্যালেঞ্জটি তার ২০জন দক্ষ সহযোদ্ধাকে নিয়ে অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে পেরেছেন। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকের কনটেন্ট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পেরেছেন। বিনামূল্যে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের এই কনটেন্টটি দেয়া হয়।  
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল শিক্ষা প্রসারে ৬৫০টি প্রাথমিক স্কুল নিয়ে যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছে তা অভাবনীয় সুফল বয়ে আনবে।
জেসমিন জুই বলেন, এই পদ্ধতিতে শিশুরা খেলার ছলে আনন্দের সাথে তাদের পাঠ্যক্রম সহজে আয়ত্ব করতে সক্ষম। তিনি দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষকদেরকে ডিজিটাল উপাত্ত ব্যবহার করার কৌশলাদি শেখান।
এ প্রকল্পের আওতায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমসমূহ ডিজিটাল হবে। তাদের ক্লাসে ডিজিটাল টিভি, ল্যাপটপ ও ট্যাব থাকবে। স্কুলে থাকবে ইন্টারনেট সংযোগ। বেসরকারিভাবে ২০০০ ও ২০১৫ সালে এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে চালু হলেও সরকারিভাবে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে পাঠ্য বিষয়ের সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন করে ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় শিক্ষার সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন এই প্রথম।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়