বাসস
  ২৩ আগস্ট ২০২২, ২১:৫৭

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরো সহযোগিতার আহবান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর

ঢাকা, ২৩ আগস্ট, ২০২২ (বাসস) : বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহনকারি মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য আরো বেশি আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছে  ইউএনএইচসিআর।
ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র শাবিয়া মন্টু আজ জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংকালে এ আহবান জানান। তিনি বলেন, ৭ লাখের অধিক রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ সপ্তাহে তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পাচঁ বছর পূর্ণ হলো। বিগত কয়েক বছরে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। ইউএনএইচসিআর’র মুখপাত্র শাবিয়া মন্টু বলেন, এতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার  এবং স্থানীয় কমিউনিটি দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে আসছে। এখন কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড়  শরনার্থী আশ্রয় শিবিরে রুপ নিয়েছে।
রোহিঙ্গারা ইউএনএইচসিআরকে বলেছে, তারা তাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়, তবে এ জন্য প্রয়োজন তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। তারা তাদের নাগরিকতের¡ স্বীকৃতি চায় এবং উপার্জনের নিশ্চয়তা চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজারে এখন প্রায় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মানবেতর  করছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, অর্থ সহায়তা কমে যাওয়ায় তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যথাযথ পুষ্টি, আশ্রয় সামগ্রী, পয়:নিষ্কাশন সুবিধা এবং বেঁচে থাকার সুযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
মন্টু আরও বলেন, প্রায়সই নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর প্রকাশ হচ্ছে, এ জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিশেষ করে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও তারা আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় মেডিকেল সুবিধা পায় না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বেচে থাকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাদের নিরাপত্তায় সহায়তা দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গা শিশু মিয়ানমারের কারিকুলামে এবং মিয়ানমার ভাষায় লেখাপড়া করছে। এ অবস্থার আরও প্রসারে আরও সহায়তা প্রয়োজন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়