বাসস
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৩০

সুনামগঞ্জে বিনা ধান-১৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (বাসস): জেলার বিশ্বম্ভরপুরে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন বিনাধান-১৭ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপ-কেন্দ্র সুনামগঞ্জের সহযোগিতায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিশ্বম্ভরপুরের আয়োজনে উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। 
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদি উর রহিম জাদিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা  থেকে ভ্যার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)”র মহাপরিচালক কৃষিবিদ. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, সুনামগঞ্জ বিনা উপ-কেন্দ্রের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুন নবী মজুমদার,বিশ্বম্ভরপুৃর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নয়ন মিয়া, সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী (তপন) ও বিনাধান-১৭ সুনামগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাকিব প্রমুখ। 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল বলেন, বিনা ধান -১৭ এর জীবনকাল ১১০-১১২দিন এবং গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যদি স্বল্পমেয়াদি আমন ধানের জাত চাষ করে তাহলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে। এতে পতিত জমি আবাদ হবে এবং কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। এজন্য স্বল্পকালীন এবং উচ্চ ফলনশীল বিনা ধান-১৭ চাষ করে পরবর্তীতে সরিষা চাষের মাধ্যমে ভোজ্যতেলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের সংকট রয়েছে এবং আকাশচুম্বী দাম এজন্য অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আমাদের ৯০ ভাগ ভোজ্যতেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় আমরা যদি দেশে সরিষা চাষের আবাদ বৃদ্ধি করি তাহলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। আমরা স্বল্পকালীন আমন ধানের জাত চাষাবাদের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এই সলুকাবাদ ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া মাঠে তিন একর জমিতে বিনা ধান-১৭ আবাদ করা হয়েছিল এবং আজ তা কর্তনের মাধ্যমে শেষ হলো। পরে কৃষকদের মাঝে বীজ ধান বিতরণ করা হয়। 
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়