বাসস
  ১৭ জুলাই ২০২২, ১০:২০

জয়পুরহাটে আন্ত:ফসল চাষ করে সফল হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা

জয়পুরহাট, ১৭ জুলাই, ২০২২ (বাসস) : কলার জমিতে আন্ত:ফসল হিসেবে কাটোয়া ডাটা ও বেগুণ চাষ করে সফল হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক কৃষকরা ।
সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ধলাহার ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের  সামছুল ও নূরবানু  দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,  বাড়ির পাশে ৩৩ শতাংশ জমিতে এবার কলার সঙ্গে আন্ত:ফসল ( সাথী ফসল) চাষ হিসেবে কাটোয়া ডাটা আবার কিছু অংশে বেগুণ চাষ করেছেন। বর্তমান বাজারে  কাটোয়া ডাটা বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয় করছেন। পাশাপাশি সংসারের পুষ্টি চাহিদাও মিটানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানান, নুরবানু। কাটোয়া ডাটা সংক্ষিপ্ত সময়ের ফসল। কাটোয়া ডাটা তুলে বিক্রি করা হবে আর কলার গাছ থেকেই থাবে জমিতে। মাঝখান থেকে অতিরিক্ত আরেকটি ফসলের চাষ করে বাড়তি আয় করা সম্ভব হলো। সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ধলাহার, রামকৃষ্ণপুর, বিষ্ণুপুর, শালপাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,  আন্ত:ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে পারিবরিক  পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে  বলে জানান, আন্ত:ফসল চাষিরা। বসত বাড়ির পাশে পতিত জমিতে সবজি চাষে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তারা। কৃষকদের কারিগরি সহায়তা ও সবজি বীজ প্রদানসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করছে স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ’জাকস ফাউন্ডেশন’।  জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো: নুরল আমিন বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের দিক নির্দেশনায়  আন্ত:ফসল চাষ হিসেবে জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের উদ্যোগ গ্রহণকরা হয়েছে। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা  এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সরকার প্রধানের এ ঘোষণা বাস্তবায়নেও বসত বাড়ির পাশে থাকা পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি উৎপাদনে  কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে ’জাকস ফাউন্ডেশন’।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়