জয়পুরহাট, ৮ জুলাই, ২০২২(বাসস): সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি কচুর সাধারণ কাটুই পোকা দমন সম্ভব। জেলায় আয়োজিত কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
লতিরাজ কচু উৎপাদনে প্রসিদ্ধ স্থান হিসাবে চিহ্নিত জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পাটাবুকা এলাকায় শুক্রবার সকালে কচু ফসলের জিনপুল সমৃদ্ধ, গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নত জাত বিস্তারের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদার করণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বগুড়া কন্দাল ফসল গবেষণা উপ-কেন্দ্র ওই কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
মাঠ দিবসে পানি কচুর সাধারণ কাটুই পোকা দমনে সমন্বিত বালাই ববস্থাপনার মাধ্যমে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ
(ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি) ব্যবহারের সফলতা নিয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. দেবাশীষ সরকার।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া মসলা গবেষণা বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃুষবিদ মো. শফিকুল ইসলাম, বগুড়া কন্দাল ফসল গবেষণা উপ-কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো: জুলফিকার হায়দার প্রধান।
কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গাবষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো: মাজহারুল আনোয়ার।
কন্দাল ফসল গবেষণা উপ-কেন্দ্র বগুড়ার উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজিউল হাসান মন্ডলের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসের আলোচনায় পানি কচুর কাটুই পোকা দমন নিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. শহিদুল আলম, কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. সামছুল আলম, কন্দাল ফসল গবেষনা বগুড়া উপ-কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: তৌহিদুর রহমান এবং লতিরাজ কচুর মার্কেটিং বিষয় নিয়ে স্থানিয় কৃষকদের মধ্যে থেকে আলোচনা করেন কচু চাষী মেহেদী হাসান ও আজিজার রহমান।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পানি কচুর সাধারণ কাটুই পোকা দমন সম্ভব উল্লেখ করে ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। যে কোন ফসলের উপযুক্ত দাম যেন কৃষকরা পায় সে ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ড. দেবাশীষ বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। এটি সম্ভব হয়েছে কৃষি বিজ্ঞানিদের গবেষণার কারনে। এক বিঘা জমিতে আগে ধান হতো ৫/৭ মণ। বর্তমানে সেখানে একবিঘা জমিতে ধান হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ মণ। সরকার কৃষিতে উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমান অর্থ ভূর্তকি দিচ্ছে। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় পানি কচু ও লতি একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। এখানকার উৎপাদিত পানি কচুর লতি দেশের সীমানা পেরিয়ে এখন বহি:বিশ্বের পনেরটি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। সেখানেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই লতি রাজ কচু। সাধারন কাটুই পোকার ব্যাপক আক্রমন বর্তমানে পানি কচু চাষে প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে । সাধারণ কাটুই পোকা একটি সর্বভুক পোকা। পানি কচুসহ বিভিন্ন ফসলে এদের ব্যাপক আক্রমন দেখা যায়।