বাসস
  ২৫ জুন ২০২২, ২২:৪০

বিটিভির সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে নয়া দিল্লী হাই কমিশন

নয়া দিল্লী, ২৫ জুন, ২০২২ (বাসস) : দেশের বাইরে বসবাস করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা আজ বিটিভি’র সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের-লালিত ‘পদ্মা সেতু’র জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা নদীর উপর দেশের দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করেন। অনিশ্চিত  প্রকৃতির দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নদী পদ্মা।
ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় করে রাখতে, নয়া দিল্লীস্থ  বাংলাদেশ  হাইকমিশন আজ সকালে মিশন প্রাঙ্গণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য এবং কিছু আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাতে তারা অনুষ্ঠানটি দেখতে পারেন।
বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি উদযাপন করার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।  
ইতিহাসের  অংশ হওয়ার লক্ষ্যে  সারা দেশ ধেকে লাখ লাখ  মানুষ সেতুর মাওয়া এবং জাজিরা পয়েন্টে জড়ো হয়েছিল ।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সম্প্রচারিত এই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের পটভূমি এবং বাংলাদেশে এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডেপুটি হাইকমিশনার নুরুল ইসলাম এবং মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
এর আগে সকালে হাইকমিশনার ইমরান মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশের জাতীয় গর্ব হিসেবে বিবেচিত ‘স্বপ্নের সেতু’ উদ্বোধনের সময় মিশন প্রাঙ্গণে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।
অনুষ্ঠানের পর মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। ‘পদ্মা সেতু’র ঐতিহাসিক উদ্বোধন উপলক্ষে মিষ্টি এবং কিছু বাংলাদেশী মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও, কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনও এই উপলক্ষে একটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত এবং একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার, সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস আলোচনায় অংশ নেন।
পরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে স্বপ্নের সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়