বাসস
  ২৭ মে ২০২২, ১৯:৩৬

বাংলাদেশে ‘সিবিএম গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন’র যাত্রা শুরু 

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২২ (বাসস) : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সাথে অধিকতর সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন এনজিও’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। কিন্তু আমরা মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখি। আমি আশা করি নিজেদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আপনাদের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় থাকবে।’  
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ‘সিবিএম গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন’র যাত্রা শুরু উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
এনজিও বিষয়ক ব্যূরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম, সিএসও অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক রাশেদা কে চৌধুরী, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মনসুর আহমেদ চৌধুরী এবং আইএনজিও ফোরামের প্রতিনিধি হাসিন জাহান এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। 
বাংলাদেশে ‘সিবিএম গ্লোবাল ডিজঅ্যাবিলিটি ইনক্লুশন’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুশফিকুল ওয়ারা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মসূচি যেন সরকারি বা অন্য সহযোগি সংস্থাগুলোর কর্মসূচির সম্পূরক হয় সেটা নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। কারণ, উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।”
সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন ও দাতা সংস্থ’ার প্রতিনিধি এবং অন্যান্য অংশীজনেরা অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।
কয়েকজন বক্তার পরামর্শের প্রেক্ষিতে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করা হবে এবং তারা যে সব বাধার সম্মুখীন হচ্ছে, তা দূর করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিবিএম’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মুশফিকুল ওয়ারা ঘোষণা করেন, তাদের সংস্থা আগামী দিনে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করবে।
ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের মনসুর আহমেদ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষার বিষয়টি এনজিও বিষয়ক ব্যূরো থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের আহবান জানিয়ে  বলেন,‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিটি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি’।
রাশেদা কে চৌধুরী বাংলাদেশে বিদেশ থেকে তহবিল আনার ক্ষেত্রে উন্নয়ন সংস্থাগুলো যে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করছে তা দূর করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও মুদ্রা পাচারের মতো বিষয়ের সঙ্গে যদি কোনও সংস্থার কোনও যোগসূত্র না থাকে, তাহলে তাদেরকে কোনও বাধা ছাড়াই বিদেশি তহবিল আনার সুযোগ দেওয়া উচিৎ। এটি বাংলাদেশে এখন যে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট চলছে তা সমাধানেও ভূমিকা রাখবে।”
সিবিএম’র অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার অসিম ডিও জানান, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী কাজ করে। তবে বাংলাদেশসহ মোট ১১টি দেশে এ সংস্থার কান্ট্রি অফিস রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়