শেরপুর, ২০ মে ২০২২ (বাসস) : জেলায় করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ১০২ জন দুস্থ নারী পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান।
নকলায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন বা এসডিএফ এর সহায়তায় সংগঠনের উপকারভোগি সদস্যদের এ অর্থ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
জেলার নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা নব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল এ আর্থিক অনুদানের নগদ টাকা বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব এসডিএফ’র বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর চেয়ারপার্সন মো. আব্দুস সামাদ ফারুক।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, এসডিএফ বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অলাভজনক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যা ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এসডিএফ সবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রামীণ ক্ষুদ্র অবকাঠামো নির্মাণ, জীবিকায়ন কার্যক্রম, কর্মসংস্থান সৃজন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সহায়তা প্রদান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চতকরণ এবং সর্বোপরি সমন্বিত  ও পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণে যথাযথ অর্থায়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধনে সরকারকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
নকলা উপজেলার সহকারী কমিশনার কাউসার আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় এসডিএফ এর পরিচালক মো. গোলাম ফারুক, নকলা উপজেলার চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন, জন প্রতিনিধি ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসডিএফ’র পরিচালক গোলাম ফারুক বলেন, সারাদেশে এসডিএফ এর আরইএলআই প্রকল্পের আওতায় এনজেএলআইপি প্রকল্পভুক্ত ১২টি জেলার ৩৬টি উপজেলার ২ হাজার ৩৪৯ টি গ্রামের কোভিট-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা করে মোট ১২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার নকলা, উরফা, গণপদ্দী, চন্দ্রকোনা, বানেশ্বর্দী ও পাঠাকাটাসহ মোট ৬টি ইউনিয়নের ৬৬ টি গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা ও যুবকদের নিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা এবং আত্মকর্মসংস্থানের কাজ করে যাচ্ছে।