বাসস
  ০৭ মার্চ ২০২২, ১৪:১৫
আপডেট  : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৪:৪২

বঙ্গবন্ধু আমাকে সন্তানের মতোই স্নেহ করতেন : গোলাম মহিউদ্দিন লাতু

 ॥বিকাশ সরকার ॥
নোয়াখালী, ৭ মার্চ, ২০২২ (বাসস) : জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের বড় সন্তান, আওয়ামী রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য গোলাম মহিউদ্দিন লাতু বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের জন্ম নেওয়ায় আমার ও আমাদের পরিবারের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মালেক উকিল সাহেবের সন্তান হিসেবে এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাঁর জীবদ্দশায় কতবার যে দেখা সাক্ষাৎ এবং কথা বার্তা হয়েছে সেই হিসেব আমার জানা নেই। তবে, এতটুকু বলতে পারি তিনি আমাকে সন্তানের মতোই আদর-যতœ ও ¯েœহ করতেন।
বর্তমানে আমার বয়স প্রায় ৭৩ বছর। আমার বাবা আওয়ামী লীগে যোগ দেন ১৯৫৩ সালে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালে আমার বাবার উপ-নির্বাচনসহ তাঁর জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু আমাদের নোয়াখালীতে প্রায় ২০ বার সফর করেছেন। মাইজদীতে আসলে তিনি আমাদের বাসায় থাকতেন। আমার মায়ের রান্না করা ডিম দিয়ে শুটকি তরকারী বঙ্গবন্ধু খুব পছন্দ করতেন।
ঢাকাতে আমাদের বাসা ছিল বনানীতে। আমার মা ও বাবার সাথে যত বারই বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গিয়েছি ততবারই বঙ্গবন্ধু আমার মায়ের রান্না করা শুটকি তরকারীর প্রশংসা করতেন।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের সু-সম্পর্ক থাকার কারণে একাত্তরে বর্বর হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত আমাদের মাইজদী গুপ্তাংক এলাকার বাড়িটি পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম নোয়াখালী সফরে এসে ১৯৭২ সালের ২২ জুন রাতে আমাদের গরীবালয়ে রক্তে কেনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আপ্যায়ন গ্রহণ না করে আমাদের পরিবারের সাথে বসে খাওয়া খেয়ে যে স্মৃতি নিদর্শন রেখে গেছেন তা আজও আমরা ভুলতে পারিনি এবং জীবনে ভুলবোও না। আমার বাবা আবদুল মালেক উকিলকে বঙ্গবন্ধু এতো ভালোবাসতেন যে তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৯৪৮ সালে আমার বাবা যখন একসঙ্গে কারাভোগ করছিলেন তখন প্রায় সময় আমি তাঁদের জন্য খাবার নিয়ে যেতাম।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের ওপর অনেক জুলুম নির্যাতন হয়েছে। আমার বাবা কারাভোগ করেছেন, কারাগার থেকে বের হয়ে দলকে সুসংগঠিত করে দলের সভাপতি হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে দেশে ফিরলে তাঁর হাতে সভাপতির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়