চুয়াডাঙ্গা, ৩ মার্চ, ২০২২ (বাসস) : জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে গড়ে উঠেছে বারোমাসি বাও-৩ জাতের মাল্টা বাগান। ফুল আর কাঁচা-পাঁকা ফলে ভরে গেছে মাল্টা গাছ। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় নতুন জাতের মাল্টা ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বছর জুড়ে ফল পাওয়ায় বাজারে চাহিদা বাড়বে। মাল্টা চাষ লাভজনক ও খরচ কম। দেড় বছর আগে গড়ে উঠে এ জাতের মাল্টা বাগান।
জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ভগিরথপুর গ্রামের সফল কৃষি উদ্যোক্তা সাখোয়াত হোসেন বাবুল পরীক্ষামূলক ভাবে বাও-৩ জাতের মাল্টা বাগান করেন ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। ময়মনসিংহ জেলা থেকে বাও-৩ জাতের মাল্টার চারা সংগ্রহ করেন তিনি। নতুন জাতের বাও-৩ জাতের মাল্টার চারা রোপণ করেন বাগানে ৩০টি। গাছ লাগানোর ৯ মাস পর এ গাছ গুলোই ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল আসার অল্প দিনেই মাল্টা ফলে পরিণত হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জাতের মাল্টা চাষে প্রথম বছরে সফলতা পেয়েছেন তিনি। দুই মাস পর ফল খাওয়া ও বিক্রির উপযুক্ত হয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বছর জুড়ে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা বাড়বে বাজারে।
বাও-৩ মাল্টার গায়ের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ, পাঁকলে হলদে ও ভিতরের রঙ হালকা হলুদ। মাল্টা মিষ্টি ও রসে ভরা। এ জাতের মাল্টা চাষে খরচ তুলনামূলক অনেক কম। নিয়মিত পরিচর্যা, সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় অল্প পরিমাণে। মাল্টার এ চাষ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা সাখোয়াত হোসেন বাবুল । প্রতি কেজি বাও-৩ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা দরে। ঢাকার বাজারে এ মাল্টার চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
বাও-৩ জাতের মাল্টা গাছ থেকে বছরে ৩-৪ বার ফল সংগ্রহ করা যাবে। প্রতিটি গাছ থেকে ১৪-১৮ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যাচ্ছে। থোকায় থোকায় গাছের ডালে ঝুলছে কাঁচা-পাঁকা ফল আর ফুল।দূর -দূরান্ত থেকে নতুন জাতের মাল্টা দেখতে মানুষ ছুটে আসছেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, নতুন জাতের বাও-৩ জাতের মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। বারি মাল্টার চেয়ে এর রঙ, রস ও মিষ্টি অনেক ভালো হওয়ায় সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে এ কর্মকর্তা জানান।
বারোমাসি মাল্টার চাষ দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমবে। আর নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।