ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়ে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ সরকারি দলের সদস্যরা এ কথা বলেন। তারা বলেন, দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য সামসুল হক টুকু।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার তৃতীয় দিনে আজ অংশ নেন সরকারি দলের আ ফ ম রুহুল হক, এনামুল হক, বীরেন শিকদার, হাবিবুর রহমান, শাহে আলম, সাইফুল সামাদ, আহসানুল ইসলাম টিটো, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, খাদিজাতুল আনোয়ার, শামীমা আখতার খানম, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন এবং জাসদের হাসানুল হক ইনু।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বিএনপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রণয়ন ইস্যুতে দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এ চেষ্টা কখনো সফল হবে না। জনগণ তা ব্যর্থ করে দিবে।
তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপি’র দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, এটা আর কখনো হবে না। সংবিধান অনুযায়ি তা আর সম্ভব নয়। তাছাড়া ২০০১ সাল মার্কা নির্বাচন আর দেশের মাটিতে হতে দেয়া হবেনা।
তারা বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির জন্ম। ষড়যন্ত্র এদের মূলনীতি। তাই বার বার এরা স্বাধীনতা আর দেশ বিরোধী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। এবারো আবার তা করছে। এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
তারা সরকারের গত সাড়ে ১৩ বছরে দেশের সব খাতে উন্নয়ন আর সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের জনগণ আজ এ সাফল্য ভোগ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ও দেশের অর্থনৈতিক চাকা চালু রেখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সাফল্যের সাথে করোনা মোকাবেলা করায় দেশের স্বাস্থ্য খাতের প্রশংসা করে তারা বলেন, শেখ হাসিনার ভিশনারী নেতৃত্বের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নেয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশ আবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পরিচালনা করে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসাবে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। সাথে সাথে আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ আইন করে ৭১ এর ঘাতকদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য ছেলে সজীব আহমেদ জয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে বিশ্বে স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ২ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে।