বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:৩৯

দিনাজপুরে ৫৬৭৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

দিনাজপুর, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ (বাসস) :  জেলায় ৫ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ফলন অর্জিত করার উদ্দেশ্য সফল করতে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা কৃষকদের গম চাষে সবধনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। 
দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ জানান- এবারে জেলায় গম চাষের জন্য অনুকূল আবহাওয়া রয়েছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত গম চাষ অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আগাম জাতের গম নতুন ভ্যারাইটি বারি ২৫ ও ২৬ গত ১৫ নভেম্বর থেকে কৃষকেরা চাষ শুরু করেছেন। আগাম জাতের গম ইতিমধ্যেই জমিতে গজে উঠেছে। বারী ২৭, ২৮, ৩০, ৩১ ও ৩২ জাতের গম আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষকরা জমিতে বপন করবে। এ জন্য আমন ধান কর্তনের পর থেকেই গম চাষের জমি প্রস্তুত করতে কৃষকরা ব্যস্ত রয়েছে। গমের জমিতে জৈব ও গোবর সার দিয়ে গমের অধিক ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা জমি প্রস্তুত শুরু করেছে। সেই সাথে গমের অধিক ফলনের ভ্যারাইটি বারী ৩০, ৩১ ও ৩২ জাতের বীজ কৃষি অধিদপ্তর থেকে ক্রয় করে চাষ শুরু করেছে। এ জাতের গম প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৭৫ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 
প্রদীপ কুমার বলেন- যদি অনুকূল আবহাওয়া ও সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে তাহলে ফলনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় ৫ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গম অর্জিত হলে ফলন হবে ২০ হাজার ৭৫০ টন। গমের জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝড় বৃষ্টি হয় ওই জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য গম চাষের পূর্বেই জমিতে সে ধরনের ড্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী গম যাতে বাহির থেকে আমদানি করতে না হয় দেশের কৃষকেরাই গম চাষে সফলতা নিয়ে আসে সে বিষয়ে গম গবেষণা ইনস্টিটিউট যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়টি সারা দেশেই কৃষকদের মধ্যে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। শুধু উচু জমিতে পূর্বে যেমন গম চাষের পরামর্শ দেয়া হতো। গতবছর থেকে সেটি পবিরর্তন করে উচু, মাঝারি এবং নদীর পাশে চর জমিতেও গম চাষ সফল করার লক্ষ্যে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। 
সূত্র জানায়, গতবছর জেলায় ৫ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ অর্জিত হয়েছিল। ফলন হয়েছিল প্রতি হেক্টরে ৩দশমিক ৭৫ টন। মোট ফলন উৎপাদন হয়েছিল ১৯ হাজার ৯১৩ টন। 
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়