বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৯:১৭

তৃণমূল পর্যায়ের প্রান্তিক মানুষের লক্ষ্যভিত্তিক গুচ্ছগ্রাম বাস্তবায়নের সক্ষমতা যাচাই করছে ভূমি মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ (বাসস) : ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁতী, জেলে, কামার, কুমার, মুচি প্রভূতি পেশা-কেন্দ্রিক অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায়ের প্রান্তিক মানুষের লক্ষ্যভিত্তিক গুচ্ছগ্রাম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সক্ষমতাও মন্ত্রণালয় যাচাই করছে।
আজ সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২)  বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত  প্রাথমিক পর্যালোচনা-ভিত্তিক তথ্য তুলে ধরেন। এ সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
ভূমিমন্ত্রী এ বিষয়ে আরো সম্ভাব্যতা যাচাইপূর্বক প্রতিবেদন তৈরী এবং তা অধ্যায়নে গুরুত্ব দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত কপ-২৬’র সিভিএফ-কমনওয়েলথ প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের সংগঠন ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম’র সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
এরই আলোকে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প অধিকতর স্থানীয় লক্ষ্যভিত্তিক করে বাস্তবায়নের সক্ষমতা যাচাই করার জন্য ভূমি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা গেলে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ গৃহায়ন কর্মসূচির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয় জলবায়ুসংশ্লিষ্ট গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এককভাবে বাস্তবায়ন করছে। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটির গোড়াপত্তন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ভূমি সংস্কারক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জলবায়ুদুর্গত ভূমিহীন, গৃহহীন, ঠিকানাহীন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এবং দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে দেশের মূল উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করাই গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) প্রদীপ কুমার দাসসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়