বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪৩

চট্টগ্রামে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত

চট্টগ্রাম, ২৯ নভেম্বর, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের ৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময় জেলার ১৫ উপজেলায় একজন জীবাণুবাহকও পাওয়া যায়নি। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ সময় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। 
চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। 
এরা সবাই নগরীর বিভিন্ন এলাকার। জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের  ৭৪ হাজার ৮৯ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩০৮ জন। গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। 
এখানে ৪৯৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হন। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৩৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। 
নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩টিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়। 
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৮২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩২,  এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। 
পাঁচ ল্যাবে পরীক্ষিত ৫৩৬ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪০, চমেকে ৫ দশমিক ১৭, শেভরনে ০ দশমিক ২৬ ও আরটিআরএলে ৬০ শতাংশ এবং চবি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়