বাসস
  ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৬:২৭
আপডেট  : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৬:৩২

পিরোজপুরে ১ লাখ ৮৩ হাজার টন শীতকালীন রবিশস্য-শাকসবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

পিরোজপুর, ১১ নভেম্বর, ২০২১ (বাসস) : চলতি মৌসুমে জেলায় শীতকালীন রবিশস্য ও শাকসবজি চাষে ২৭ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টন। 
রবিশস্য ও শাকসবজি চাষীরা মাঠে, বাড়ির আঙিনায় এবং বাগানের বিভিন্ন স্থানে যেখানেই জমি ফাঁকা রয়েছে সেখানেই এই চাষাবাদ করছে। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় শীতকালীন রবিশস্য ও শাকসবজি চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায়- গম ১০০ হেক্টরে ৩২০ টন, ভুট্টা ৫৫০ হেক্টরে ৫ হাজার ১১৫ টন, আলু ১০৬০ হেক্টরে ১৯ হাজার ৪৫১ টন, মিস্টি আলু ২৭০ হেক্টরে ৫হাজার ১৩০ টন, আখ ২৬০ হেক্টরে ১১ হাজার ৭০০ টন, পিয়াজ ১১০ হেক্টরে ৯৩৫ টন, রসুন ৮৫ হেক্টরে ৬৩৮ টন, ধনিয়া ২০৫ হেক্টরে ৩০৮ টন, সূর্যমুখি ৩৫০ হেক্টরে ৭০০ টন, মরিচ ৫৩০ হেক্টরে ৮০৬ টন, সরিষা ১৫০ হেক্টরে ১৮০ টন, মুগ ৬ হাজার ২৫০ হেক্টরে ৮ হাজার টন, খেসারী ১১ হাজার ৭০০ হেক্টরে ১৬ হাজার ৩৮০ টন, মসুরি ২৫০ হেক্টরে ২৮৮ টন, ছোলা ৫ হেক্টরে ৭ টন, ফ্যালন ৭ হেক্টরে ৮ টন, তিল ১৫ হেক্টরে ১৫ টন  এবং চিনাবাদাম ৮০ হেক্টরে ১১২ টন। শীতকালীন শাকসবজির মধ্যে লালশাক, মুলা, পালন শাকসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় বাসসকে জানান, বোরো এবং রবিশস্য চাষীদের উৎসাহিত করতে প্রনোদনা সাহায্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ৪০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে রবিশস্য চাষাবাদে ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৭৫ টাকা প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। 
কৃষি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই কৃষি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রতিজন চাষীকে ১ বিঘা জমির জন্য এই প্রণোদনা দেয়া হবে। গম চাষে ৫০০, ভুট্টা চাষে- ৩ হাজার, সরিষা চাষে ১ হাজার, সূর্যমূখী চাষে ২ হাজার ৫০০, চীনাবাদাম চাষে ৪০০, মুগ চাষে ৫হাজার, মসুর চাষে ১ হাজার এবং খেসারী চাষে ১ হাজার জন এই প্রণোদনা পাবে। প্রতিজন সূর্যমুখির জন্য বীজ ১ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ১০ কেজি, মুগের জন্য ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি, ভুট্টা চাষের জন্য ২ কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, গমের জন্য ২০ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, সরিষার জন্য ১ কেজি উচ্চ ফলনশীল বীজ, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি, চীনা বাদামের জন্য বীজ ১০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি এবং মসুরের জন্য বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি এবং এমওপি ৫ কেজি, খেসারীর জন্য বীজ ৮ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি প্রদান করা হবে। 
সদর উপজেলার রায়েরকাঠী গ্রামের রবিশস্য চাষী মো. ফজলুল হক জানান, সরকার সার, বীজের প্রণোদনা দেয়ার ফলে চাষীরা রবিশস্য চাষে উৎসাহিত হচ্ছে, রবিশস্যের ফলন প্রতিবছর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চাষীরাও উপকৃত হয়ে এই চাষাবাদের সাথে সম্পৃক্ত থাকছে। এদিকে জেলা শহর পিরোজপুরের সবজি বাজার এখন শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজিতে পরিপূর্ণ। বিকেল হলেই বিভিন্ন কৃষি খামার থেকে টাটকা শাকসবজি এনে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিক্রি করা হচ্ছে।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়