বাসস
  ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৩:২৭

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় শীতকালীন সবজি উঠা শুরু হয়েছে

যশোর, ৮ নভেম্বর, ২০২১ (বাসস) : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৫৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।জেলার সাতমাইলসহ বিভিন্ন মাঠজুড়ে শীতকালীন সবজির সমারোহে সবুজ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠা শুরু হয়েছে। শীতকালীন আগাম সবজির দাম ভালো পাওয়ায় চাষির মুখে খুশির ঝিলিক মিলছে। সবজি চাষিরা বলেছেন, বর্তমানে অল্প পরিমাণ শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো,লাউ,মুলা,বেগুন, পালংশাক বাজারজাত করা হচ্ছে। এগুলো মওসুমের আগে চাষ করা হয়েছিল।চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম বাজারে বেশি। এছাড়া বর্ষার কারণে চাষ ব্যাহত হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।দু’সপ্তাহের মধ্যে শীতকালীন সবজি বাজারে পুরোদমে উঠলে দামও কমবে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মাঝামঝি সময়ে শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি মওসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা-যশোর, ঝিনাইদহ,মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ৫৩ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে যশোর জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। ঝিনাইদহ জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে।মাগুরা জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। কুষ্টিয়া জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে এবং মেহেরপুর জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। সূত্র আরও জানায়, গত বছর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০,০২৩ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫১,১২২ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছিল।
যশোর সদরের সাতমাইল এলাকার একাধিক সবজি চাষি জানান, বিষা প্রতি জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে তাদের খরচ হয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো।একবিঘা জমিতে তারা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০হাজার টাকার সবজি বিক্রি করে থাকেন।
বাজার সূত্রে জানা যায়,বর্তমানে খুচরা বাজারে এককেজি ফুলকপি ৬০টাকা থেকে ৭০টাকা, বাঁধাকপি প্রতিকেজি ৪০টাকা, পালংশাক প্রতিকেজি ৬০টাকা, শিম প্রতিকেজি ৬০টাকা থেকে ৭০টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৭০টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ৮০টাকা থেকে ১০০টাকা এবং লাউ সাইজ ভেদে ৪০টাকা থেকে ৫৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে যে সব শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো মওসুমের আগে লাগানো। আগাম শীতকালীন সবজি চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশি বলে জানান সবজিচাষিরা।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বাসসকে জানান,যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর  ভূমি।এখানে উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। বর্ষার কারণে সবজি চাষ ব্যাহত হওয়ায় বর্তমানে দাম একটু বেশি রয়েছে।ইতোমধ্যে বাজারে শীতকালীন সবজি ওঠা শুরু হয়েছে।আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে দাম অনেকটা কমে যাবে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়