বাসস
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:০২
আপডেট  : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:২০

পিটিয়ে ছাত্র-যুবক হত্যায় নিন্দা ও উদ্বেগ ইউট্যাবের

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে ছাত্র-যুবক মারার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ধরনের হত্যাকান্ড রুখে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষকদের এই সংগঠন।
ইউট্যাব প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, রাজনীতি বন্ধ থাকলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান ঘটবে। রাজনীতি বন্ধের সুবিধা নিয়ে আবারও স্বৈরাচার আওয়ামী ও ছাত্রলীগ পুনর্বাসন ঘটবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের অবসানের পর দেশবাসী স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উৎখাত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের বিষয়ে জনগণকে এখনো স্পষ্ট করেনি। বরং ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গাইবান্ধা ও রাজশাহীতে পিটিয়ে ছাত্র-যুবকদের হত্যা করা হয়েছে। এখনও দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউট্যাব নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরির অভিযোগে যেভাবে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাতে আমরা হতভম্ব এবং বিস্মিত। এ ধরনের হত্যাকান্ড অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং বেআইনী। মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদেরকে হতবাক করেছে। এ জন্য হল প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
নেতৃদ্বয় বলেন, কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকা- বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে মতপ্রকাশের সুযোগ থাকবে না। সুতরাং রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের যে সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়েছে আমরা সেখান থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।