পটুয়াখালী, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম  বলেছেন, দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের নবনির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের খেপুপাড়া নদী উপকেন্দ্রের অফিস কাম গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। 
মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন,“দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। ইলিশ নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। দেশের যে প্রান্তে ইলিশ কমে যাচ্ছে সে প্রান্তে উৎপাদন যাতে বাড়ানো যায়, ইলিশ যাতে নির্বিঘেœ প্রজনন করতে পারে, এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়েছে। যে সব নদীতে ইলিশ ছিল, কিন্তু এখন নেই সেখানে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।" মন্ত্রী বলেন,“মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়শ্রম করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত মৎস্য আহরণ বন্ধ করার জন্য যেসব এলাকায় নজর  দেয়া দরকার, সে সব এলাকায় নজর  দেয়া হচ্ছে। নদীর গভীরতা যাতে নষ্ট না হয়, নদীর গতি-প্রকৃতি যাতে বিঘ্œিত না হয়, সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি। নদীর নাব্যতার কারণে মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হবে মন্ত্রী বলেন, " মৎস্যজীবী নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করা চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে মৎস্যজীবীদের নিবন্ধন হালনাগাদ হয়ে যাবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীরা এ তালিকার আওতায় আসবেন। মাছ ধরা বন্ধের সময় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মো. তৌফিকুল আরিফ ও যুগ্ম সচিব  মোঃ আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান প্রমুখ  সময় উপস্থিত ছিলেন।