প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে কাজ শুরু করতে হবে : মোস্তাফা জব্বার

768

ঢাকা, ১৮ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ারে চাকরির জন্য প্রযুক্তিনির্ভর পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আর এর জন্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাথমিক স্তর থেকে কাজ শুরু করতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিসিসি’র মিলনায়তনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন’ ‘শিশুর জীবন করো রঙিন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় চাকরির সুযোগ সীমিত। তাই পড়াশুনা শেষে চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে তরুণ সমাজ। তরুণ-তরুণীদের ক্যারিয়ারে চাকরির জন্য ‘স্কিল বেজড’ অথবা প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার এখন প্রোগ্রামিং এবং রোবটিক্স বিষয়ক পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করা, প্রতিটি ক্লাস রুমকে ডিজিটাল করা এবং শিশুদের পড়াশোনার কনটেন্টকে ডিজিটাল করা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ। বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিল অত্যন্ত বৈচিত্রময় ও বহুমুখী। বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত বাংলার জনগণের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা তার মূল্যায়ন করতে পারিনি। কারণ মূল্যায়ন করতে হলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যতটুকু জানা দরকার তার অধিকাংশই আমরা এখনো জানি না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে আমরা তুলে ধরতে পারি তাহলে তারা জীবন সংগ্রামে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ডিজিটাল প্লাটফর্মে শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সারা জীবনই এই জাতির জন্য সব কাজ করে গেছেন। আমাদের শুধু সেটি কে অনুসরণ করতে হবে এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু যদি আরো পাঁচ বা দশ বছর বেঁচে থাকতেন তাহলে আমরা আরও উন্নত একটি দেশ পেতাম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন, কন্ট্রোলার এবং সার্টিফাইং অথরিটিজ আরে নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।