বাসস ক্রীড়া-১২ : কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ

559

বাসস ক্রীড়া-১২
ফুটবল-প্রীতি
কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ
ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পাঁচ মাস পড়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলারা । কথা রাখলেন কোচ, অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। আজ রাতে নমপেনের পনম পেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে জয়সূচক অসাধারণ গোলটি করেন পরিবর্তিত খেলোয়াড় রবিউল হাসান।
ফিফা র‌্যাংকিংয়ে কম্বোডিয়ার চেয়ে ২০ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। সর্বশেষ র‌্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২ এবং কম্বোডিয়ার অবস্থান ১৭২তম স্থানে।
ম্যাচের প্রথম থেকেই কম্বোডিয়ার জালে ছিল বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা। বার বার আক্রমণ করেও অবশ্য গোল পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। কম্বোডিয়ার গোলরক্ষকই ছিল যেন বাংলাদেশের সামনে বড় প্রতিপক্ষ। কিন্তু ৮৩ মিনিটে আর দলকে রক্ষা করতে পারেননি স্বাগতিকদের গোলরক্ষক।
পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠ থেকে লেফট উইংয়ে বল পান ১৬ নম্বর জার্সিধারী, পরিবর্তিত ফুটবলার মাহবুবুর রহমান সুফিল। নাবীব নেওয়াজ জীবনের পরিবর্তে তাকে মাঠে নামান কোচ জেমি ডে। লেফট উইং ধরে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসেন সুফিল। কম্বোডিয়ান এক ডিফেন্ডার তাকে থামানোর জন্য শরীরের সাথে লেগে থাকলেও সুফিল দক্ষতায় সঙ্গে বক্সের বাম পাশে এগিয়ে আসা মাহবুবুর রহমানকে পাস দেন।
চলমান বলে বাম পায়ের টোকা দেন মাহবুবুর রহমান। সেটিই শেষ পর্যন্ত ফাঁকি দিলো কম্বোডিয়ার গোলরক্ষককে। তার মাথা এবং কাঁধের ফাঁক দিয়ে বল গিয়ে প্রবেশ করল কম্বোডিয়ার জালে। এ গোলটিই শেষ পর্যন্ত হয়ে রইল জয় নির্ধারক হিসেবে।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে আগের তিনবারে দুবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ জেতে ২-১ গোলে। পরের বছর দিল্লিতে নেহেরু কাপে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। আর ২০০৯ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার নিয়ে তিনবারই জিতল বাংলাদেশ।
বাসস/স্বব/২০৪৫/মোজা/এএমটি