বাসস সংসদ-৫ : জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র ’৭১, ’৭৫-এর খুনীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করারই নামান্তর : মোজাম্মেল

579

বাসস সংসদ-৫
রাষ্ট্রপতির ভাষণ-আলোচনা
জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র ’৭১, ’৭৫-এর খুনীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করারই নামান্তর : মোজাম্মেল
সংসদ ভবন, ৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানের গণতন্ত্র ’৭১-এর পরাজিত শক্তি এবং ’৭৫-এর খুনীদের রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করারই নামান্তর।
এ প্রেক্ষিতে তিনি ‘৭১ ও ’৭৫-এর খুনীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর এ আলোচনা শুরু হয়। ওই দিন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ. স. ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ ২৩তম দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সরকারি দলের মাহবুব-উল আলম হানিফ ও বেগম নাহিদ জাহান খান আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ’৭১-এর খুনীর দল জামায়াত ইসলামীকে রাজনীতি করার অধিকার দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। জিয়া পাশাপাশি ’৭৫-এর স্বঘোষিত খুনীদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন। এরপর বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে ’৭১এর খুনীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। আর ‘৭৫-এর খুনী কর্ণেল রশীদকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনী ও ’৭১ সালের খুনীদের বিচার নিশ্চিত করেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেন। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করেন। পাশপাশি গত দশ বছরে দেশকে উন্নয়নের এক সোপানে নিয়ে যান, যাতে দেশ আজ নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে এ উন্নয়নের চিত্র সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়। আর এই জনবান্ধব উন্নয়নের কারণেই দেশের জনগণ টানা তৃতীয়বারের মতো নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করেছে। ফলে কারচুপির মাধ্যমে নয় জনগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করেছে।
সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সরকারের বিগত সময়ের ৩৫টি খাতের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে বিবরণ দিয়েছেন এবং সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক ও কর্মসংস্থান উল্লেখ করে তারা বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। এদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে দেশের উন্নয়নে এরা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করতে হবে।
তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় কাজ করে যাচ্ছেন। অশুভ শক্তি যাতে তথ্য প্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত সময়ে উন্নয়নের কারণে ভোট দিয়েছে।
বাসস/এমআর/এমএসএইচ/২২৩৫/বেউ/-অমি