রাভাল-লাথামের জোড়া সেঞ্চুরির বড় লিড নিউজিল্যান্ডের

385

হ্যামিল্টন, ১ মাচর্, ২০১৯ (বাসস) : দুই ওপেনার জিত রাভাল ও টম লাথামের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বড় লিড নিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। রাভালের ১৩২ ও লাথামের ১৬১ রানের কল্যাণে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৪৫১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২১৭ রানে এগিয়ে কিউইরা।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে অলআউট করে দেয় নিউজিল্যান্ড। চা-বিরতির পর নিজেদের ইনিংস শুরু করে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৮৬ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। তাই ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৪৮ রানে পিছিয়ে ছিলো কিউইরা। রাভাল ৫১ ও লাথাম ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনও বাংলাদেশ বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন রাভাল ও লাথাম। তাই দলীয় স্কোর একশর পর দুইশও স্পর্শ করে। অবশ্য দুইশর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন রাভাল। ১৭তম টেস্টে এসে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ভারতের গুজরাটে জন্ম নেয়া রাভাল।
রাভালের পর নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লাথামও। দ্বিতীয় স্লিপ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
তিন অংকে পা দিয়ে নিজের ইনিংস বড় করেছেন লাথাম। কিন্তু সেটি করতে পারেননি রাভাল। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৭০তম ওভারে প্রথমবারের মত বল হাতে নিয়েই রাভালকে থামিয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ। ফলে ২৫৪ রানে ভাঙ্গে রাভাল-লাথাম উদ্বোধণী জুটি। ৪২০টি বল মোকাবেলা করেছেন তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ রান। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২০ বলে ১৩২ রান করেন রাভাল।
রাভাল ফিরে যাবার পর ব্যাট হাতে ক্রিজে লাথামের সঙ্গী হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এই দু’জনই বাংলাদেশ বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। তাই তিনশ রানের কোটা পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ততক্ষণ নিজের নামের পাশে দেড়শ রান জড়ো করেন লাথাম।
তবে সৌম্য সরকারের প্রথম শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৬১ রানে থেমে যান লাথাম। বাংলাদেশের মোহাম্মদ মিথুনকে ক্যাচ দিয়ে আউট হবার আগে ১৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৪৮ বলে নিজের দায়িত্বশীল ইনিংসটি সাজান লাথাম। অধিনায়কের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন লাথাম।
রাভালকে শিকার করার কিছুক্ষণ বাদে নিউজিল্যান্ড শিবিয়ে আবারো আঘাত হানেন সৌম্য। অভিজ্ঞ রস টেইলরকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি তিনি। লেগ বিফোর ফাঁেদ পড়েন টেইলর।
দলীয় ৩৪৯ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেইলরের বিদায়ে উইলিয়ামসনের সাথে জুটি বাঁেধন হেনরি নিকোলস। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালোভাবে দিন শেষ করার লক্ষ্য ছিলো উইলিয়ামসন ও নিকোলসের। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হবার ১২ বল আগে নিকোলসকে শিকার করেন বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৭টি চারে ৮১ বলে ৫৩ রান করা নিকোলসকে বোল্ড করেন মিরাজ।
তবে দিন শেষে ৯টি চারে ১৩২ বল মোকাবেলায় ৯৩ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামসন। তার সাথে ১ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ওয়াগনার। বাংলাদেশের সৌম্য ২টি, মাহমুদুল্লাহ-মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।
স্কোর কার্ড (দ্বিতীয় দিন শেষে) :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৩৪/১০ ৫৯.২ ওভার (তামিম ১২৬, লিটন ২৯, সাদমান ২৪, ওয়াগনার ৫/৪৭)।
নিউজিল্যান্ড ইনিংস প্রথম ইনিংস (আগের দিন) ৮৬/০, ২৮ ওভার, রাভাল ৫১*, লাথাম ৩৫* :
জিত রাভাল ক খালেদ ব মাহমুদুল্লাহ ১৩২
টম লাথাম ক মিথুন ব সৌম্য ১৬১
কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ৯৩
রস টেইলর এলবিডব্লু ব সৌম্য ৪
হেনরি নিকোলস বোল্ড ব মিরাজ ৫৩
নিল ওয়াগনার অপরাজিত ১
অতিরিক্ত (লে বা- ৫, নো-১, ও-১) ৭
মোট (৪ উইকেট, ১১৮ ওভার) ৪৫১
বাংলাদেশ বোলিং :
জায়েদ : ২৩-৪-৬৫-০,
এবাদত : ২১-৪-৭৭-০,
খালেদ : ২২-৬-৮৪-০,
সৌম্য : ১৯-১-৫৭-২,
মিরাজ : ৩১-২-১৪৯-১,
মাহমুদুল্লাহ : ১-০-৩-১,
মোমিনুল : ১-০-১১-০।