শরীয়তপুরে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষের পথে

431

শরীয়তপুর, ১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এনপিটিএনডিজি)-এর আওয়তায় শরীয়তপুরে নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। আগামী দুই মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের শরীয়তপুর অংশসহ পুরো জেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে শরীয়তপুরবাসী।
এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মিত হলে জেলাবাসী লোডশেডিং এর হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুরসহ আরো চারটি (কুমিল্লা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, রাজশাহী-২ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বেনাপোল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র) এবং মাদারীপুরে বে-এক্সটেনশন কেন্দ্র নির্মত হবে।
জেলা সদরের রুদ্রকর গ্রামে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৫ একর জমির উপর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ শুরু করে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিটেড। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে (জাইকার সহায়তা) ২১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ও বাংলাদেশ সরকারের ৫৬ কোটি টাকা। ২০১৯ ইং সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণ শেষ হবে বলে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিেিটড সূত্রে জানা গেছে।
দাতা সংস্থা জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এনপিটিএনডিজি) এর আওতায় শরীয়তপুর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ কুমিল্লা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, রাজশাহী-২ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বেনাপোল বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও মাদারীপুর বে-এক্সটেনশন কেন্দ্র নির্মত হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার মনোহর গ্রামের মীর রব্বানী বলেন, এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি চালু হলে শরীয়তপুর জেলার লোডশেডিংয়ের ঝামেলা থাকবে না। আমরা আশা করছি এ উপকেন্দ্রটি চালু হলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও শরীয়তপুর অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিমিেিটড এর সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা এ উপকেন্দ্রের সার্বিক কাজের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ করেছি। আগামী এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। কাজ শেষ হলে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু এলাকাসহ পুরো শরীয়তপুরবাসী নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।