সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৯ পাস

828

সংসদ ভবন, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : অ্যাভিয়েশন সংশ্লিষ্ট উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্রসর বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন, জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা, পাঠন-পঠনের সুযোগ সৃষ্টিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিধান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০১৯ আজ সংসদে পাস করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলের বিধান অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত স্থানে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিধান করা হয়েছে। অধিভুক্ত এবং অঙ্গীভূত ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমী, ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর স্কুল, ফ্লাইট সেফটি ইনস্টিটিউট, কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, অ্যারো মেডিকেল ইনস্টিটিউট, অফিসার্স ট্রেনিং স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক, সময়ে সময়ে, স্বীকৃতি এবং অনুমোদিত বিমান বাহিনীর অন্য কোনো ইনস্টিটিউট, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন ট্রেনিং সেন্টার এবং বিমান বাংলাদেশ ট্রেনিং সেন্টারসহ অ্যাভিয়েশন শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারি ও বেসরকারি ইনস্টিটিউট, কলেজ, একাডেমি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সময় সময় স্বীকৃত বা অনুমোদিত অন্য কোনো একাডেমি, ইনস্টিটিউট বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, শিক্ষাদান, মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও তার ক্ষমতা এবং দায়িত্ব, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, ডিন, পরিদর্শক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি, জনসম্পর্ক ও তথ্য বিভাগ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগ, বাছাই কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট, শৃংখলা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি, প্রবিধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ভর্তি, পরিচালন ব্যয় ও শিক্ষার্থীদের বেতন, পরীক্ষা, পরীক্ষা পদ্ধতি, বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, বেগম সালমা ইসলাম ও মো. মুজবিুল হক বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।