বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার তার অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করছে না : প্রধানমন্ত্রী

588

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পল কনেট-সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার তার অঙ্গীকার অনুযায়ী কাজ করছে না : প্রধানমন্ত্রী

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পল কনেট এবং এ্যালেন কনেট বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের বিষয়টিও অবহিত করেন।
তাঁরা রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী শিবিরে পরিচ্ছন্ন সুপেয় পানি এবং সানিটেশনসহ বিভিন্ন বন্দোবস্তের জন্য বাংলাদেশ সরকারেরও প্রশংসা করেন।
তাঁরা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য আপনার সরকার চমৎকার বন্দোবস্ত করেছে এবং আমরা এতে খুবই অভিভূত হয়েছি।’
পল কনেট এবং মিসেস কনেট বলেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং সেখান থেকে অর্জিত অর্থ ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রদান করা হবে।
পল কনেট স্মরণ করেন যে, তিনি সর্বপ্রথম ১৯৭১ সালের অক্টোবরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বাংলাদেশের সবুজ প্রাকৃতিক শোভায় বিমুগ্ধ হন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের জনগণের জন্য তাঁদের ভালবাসা এবং একাত্মতায় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের বিষয়ে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার তাঁকে বলা একটি কথা উদ্ধৃত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রেহানা বলেছিল (শেখ রেহানা) তুমি যদি ১৬ কোটি লোককে খাওয়াতে পার তাহলে আর ৫ থেকে ৭ লাখ লোককে তাদের দুঃসময়ে খাওয়াতে পারবা। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা একবেলা খাব, আর অন্য বেলার খাবারটা এই বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগ করবো।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম আরিফ-উর-রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/২৩১৮/এইচএন