বাজিস-২ : জয়পুরহাটে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে মিল চাতালগুলো

340

বাজিস-২
জয়পুরহাট-মিল চাতালগুলো
জয়পুরহাটে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে মিল চাতালগুলো
জয়পুরহাট, ৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : জেলার মিল চাতাল গুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকারের উন্নয়ন মুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চলছে ধান শুকানোর কাজ। মিলগুলো চালু হওয়ায় শ্রমিক-মজুররা পেয়েছে তাদের কাজের ঠিকানা।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে ৫শ’ ১৬টি মিল চাতাল রয়েছে। এরমধ্যে অটো মিল হচ্ছে ১৮টি এবং হাসকিং মিল হচ্ছে ৪৯৮টি। চলতি ২০১৮ সালে সরকার অভ্যন্তরীণ খাদ্য মজুদ করতে বোরো চাল সংগ্রহের জন্য জয়পুরহাট জেলায় লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে ১৮ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যমাত্রা বছরের তুলনায় প্রায় ডবল। যা ইতোমধ্যে মিলারদের মধ্যে বরাদ্দ প্রদান করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মিল চাতালগুলো আবার চালু হয়েছে। শ্রমিকরাও এখন ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা শহরের পাঁচুরচক এলাকার বাইজিদ চাল কলের মালিক কামরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ দুই আড়াই বছর পর চাল দেয়ার বরাদ্দ পাওয়ায় মিল চালু করতে পেরেছি। সদর উপজেলা মিল মালিক সমিতির সভাপতি সামছুল আলম বলেন, সরকারের সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে মিলগুলো আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চাল সংগ্রহের জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কেজি প্রতি ৩৮ টাকা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি বলে জানান তিনি। এতে কিছুটা হলেও এবার মিল মালিকরা লাভবান হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, জেলায় এবার ৭২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কাটা মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন। আবহাওয়া ভাল থাকায় জেলায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।
বাসস/সংবাদদাতা//কেইউ/১০২৫/নূসী