বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : সার্বজনীন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জনে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

336

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-স্বাস্থ্য নিরাপত্তা
সার্বজনীন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জনে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, এমডিআর-টিবি’র স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসা রেজিমেন গবেষনা বাংলাদেশে সম্পন্ন হয়েছে এবং তা ‘বাংলাদেশ রেজিমেন’ হিসাবে পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘রেজিমেন চিকিৎসার ফলে এমডিআর-টিবি চিকিৎসার মেয়াদ লক্ষ্যণীয়ভাবে ২০ মাস থেকে কমিয়ে ৯ মাসে এনেছে এবং এক্ষেত্রে চিকিৎসায় সফলতার হার যথেষ্ট ভালো। বর্তমানে সারা বিশ্ব স্বল্পমেয়াদী এমডিআর-টিবি রেজিমেন গ্রহন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবাখাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বব্যাপি স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত তিনদশক যাবৎ বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনস্বাস্থ্য সেবাকে সকল নাগরিকের কাছে সহজলভ্য ও প্রবেশগম্য করে গড়ে তোলা বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরিকল্পনার আওতায় সবার জন্য স্বাস্থ্য (এইচএফএ), প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা (পিএইচসি), এসেনসিয়াল সার্ভিস প্যাকেজ, প্রভৃতি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকাগুলোতে ১৮ হাজার পাঁচশ’টির বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রগুলো তৃনমূল জনগোষ্ঠিকে স্বাস্থ্যসেবা সহ ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে, অন্ততপক্ষে প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের মাধ্যমে ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরিসেবা সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ‘এসডিজি’ লক্ষ্যমাত্রাসমূহ উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’-এ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বহুমাত্রিক, সীমাহীনভাবে বিস্তৃত হচ্ছে এবং এ জন্য প্রয়োজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি ও ঘনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
তিনি বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন আমাদেরকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, বিশেষত আমাদের সমাজের ঝুঁকিপূর্ন অংশের, বিষয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় আমাদের যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের কঠিন পথপরিক্রমায় সাথে থাকার জন্য, বিশেষত এমডিজি অর্জন, শিশু ও মার্তৃমৃত্যু হ্রাস তথা বিভিন্ন টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা এবং বহুবছর যাবৎ এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষা ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য এবং গনতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিন সুদান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ডব্লিউএইচও’র জরুরী কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বাসস/একেএইচ/অনু-এমকে/১৯৪৫/কেকে