বাজিস-১২ : সাতক্ষীরা জেলায় ২ বছরে ১২৫টি বাল্যবিবাহ প্রতিহত

321

বাজিস-১২
সাতক্ষীরা জেলায় ২ বছরে ১২৫টি বাল্যবিবাহ প্রতিহত
সাতক্ষীরা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১২৫টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে। এর ফলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সামাজিক আন্দোলনের রূপ নিয়েছে ।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তারাময়ী মুখার্জী জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, সমাজকর্মী, নারী নেত্রীসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেশা ও পেশার ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। এতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ফেব্রয়ারি মাসে ৭, জুন মাসে ৬, জুলাই মাসে ৫, আগস্ট মাসে ১৫, সেপ্টেম্বর মাসে ৭, অক্টোবর মাসে ১৭, নভেম্বর মাসে ১১ ও ডিসেম্বর মাসে ৬ সর্বমোট ৭৪টি বাল্যবিবাহ সরকারি উদ্যোগে বন্ধ করেছেন। তারা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৭, মার্চ মাসে ১০, মে মাসে ৭, এপ্রিল মাসে ১১, আগস্ট মাসে ৪, অক্টোবর মাসে ৫ এবং ডিসেম্বর মাসে ৭ সহ মোট ৫১ টি নাবালিকা মেয়েকে রক্ষা করতে পেরেছেন বাল্যবিয়ের করাল ছোবল থেকে।
কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের তফুরা (১৪)কে তার বাবা জালাল সরদার ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের তৎপরতায় এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
দেবহাটা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মাসুমা খাতুন (১৫)কে তার বাবা-মা একজন ঘের কর্মচারীর সাথে বিয়ে ঠিক করে ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হয়।
সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের শারমিন আরা (১৫) বলেন, ২০১৮ সালের ৭মে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অভিভাবক বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। কিন্তু সে বাল্যবিবাহ বিরোধী হেল্প লাইন নাম্বারে ফোন করায় বিয়ে আটকে যায়। শারমিন এখন নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতা করবার।
আশাশুনি উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের নরেন মন্ডলের মেয়ে বৃষ্টি মন্ডল (১৭) জানান, ২০১৭’র ১আগস্ট তার বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়। তার বাবা মা মুচলেকা দিয়েছেন যে মেয়েকে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এবং পড়াশোনা করাবেন।
বাসস/সংবাদদাতা/২০০৫/মরপা