আমন্ত্রণে সাড়া না দেয়া বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ : ওবায়দুল কাদের

367

ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস): আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া না দেয়া বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ । এটি গণতন্ত্র এবং বিএনপির অস্তিত্বের জন্য শুভ নয়। ওবায়দুল কাদের আজ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
বিএনপিকে সংসদে আসার জন্য আবারও আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা-চক্রে বিএনপির খোলামেলা আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে। সংসদে সমালোচনা করলে তার আলোড়ন তৈরি হয়। যদি বিএনপি সংসদে না আসে তাহলে তারা সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
এই নির্বাচনের পর বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জাতিসংঘও সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য চিঠি দিয়েছে। বিএনপি যদি এ অবস্থায়ও সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে, তাহলে তারা আরও বড় ভুল করবে। বিদেশেও তাদের বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বিদেশে তাদের বন্ধু বলে কেউ থাকবে না।”
তিনি বলেন, চা খেতে খেতে কথা বলা যায়, আলোচনা করা যায়। রাজনীতিবিদরা রাজনীতির কথাই বলবেন। ফলে চা-চক্রে বিএনপির প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলতে পারেন। বলার মতো কিছু থাকলে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন।
বিএনপির পুনরায় নির্বাচনের যে দাবি তুলেছে তার জন্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপি খাদের কিনারে পৌঁছে গেছে। তারা খাদে পতিত হবে।বিএনপি যদি তাদের চিরাচরিত নেতিবাচক রাজনীতির ধারা আঁকড়ে ধরে থাকে, তাহলে তারা অন্ধকারে খাদে পড়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। রাজনীতিতে জোয়ার-ভাটা আছে। ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি সংসদ বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটালে সেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের নিজের অস্তিত্বের জন্যও ক্ষতিকর।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সংসদে না থেকেও নির্বাচনে তারা যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে, এটা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদের ভেতরে-বাইরে দুই ক্ষেত্রেই আন্দোলন করা যায়। তারা সংসদে গেলে বিরোধী কণ্ঠ উচ্চারিত হবে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি সাড়া জাগানোর মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্য আসে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্য আসবে না।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
সংবাদ সন্মেলনে দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।