বাসস দেশ-২৮ : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ১১টি ক্ষেত্র শনাক্ত করে তা বন্ধে ২৫টি সুপারিশ

379

বাসস দেশ-২৮
দুদক-প্রতিবেদন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ১১টি ক্ষেত্র শনাক্ত করে তা বন্ধে ২৫টি সুপারিশ
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির ১১টি ক্ষেত্র শনাক্ত করে এসব দুর্নীতির উৎস বন্ধে ২৫টি সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
আজ স¦াস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে তার কার্যালয়ে দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক টিম এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।
পরে দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক সংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসা সেবা প্রদান, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইক্ইুপমেন্ট ব্যবহার, ঔষধ সরবারাহসহ বিভিন্ন দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে।
এসব দুর্নীতির উৎস বন্ধে তথ্য বহুল সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, ঔষধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাাপন ও অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক আথবা কর্মচারী ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কী-না এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির নীতিমালা প্রণয়ন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষেেধর নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা, ইন্টার্নশীপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা, চিকিৎসকগণের (সরকারি/বেসরকারি) পদোন্নতির জন্য সরকারি চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ প্রদান করা যেতে পারে ইত্যাদি সুপারিশ রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যূতি উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় । দুর্নীতি থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই এই খাতে দুর্নীতি প্রশয় দেযা হবে না।
চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি মনিটিরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে সেল গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯৩৫/কেএমকে