বাসস দেশ-৩২ : ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলা : একজন আটক

290

বাসস দেশ-৩২
এনবিআর-প্রেস ব্রিফিং
ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের মামলা : একজন আটক
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচারের দায়ে ১৭ জনকে আসামী করে আজ ক্রিসেন্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ইতোমধ্যে একজন আসামীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মুদ্রা পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আজ চকবাজার মডেল থানায় পৃথক তিনটি মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। মামলার ১৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন ক্রিসেন্ট গ্রুপের এবং ১৩ জন জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা।’
মামলার অন্যতম আসামী ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে আজ সাড়ে তিনটায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আটক আসামীকে আগামীকাল আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। মামলার অন্য আসামীগণ যাতে দেশত্যাগ বা আত্মগোপনে না যেতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিন প্রতিষ্ঠান হলো-ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেড। এর মধ্যে রফতানি বিলের মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ যথাক্রমে ৪২২ কোটি ৪৬ লাখ,৪৮১ কোটি ২৬ লাখ এবং ১৫ কোটি ৮৪ লাখ সর্বমোট ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
এম এ কাদের ছাড়াও মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের অন্য তিন আসামী হলেন ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম, রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুন জাহান মিরা।
উল্লেখ্য, বিলের মাধ্যমে বিদেশে পণ্য সরবরাহ করে সে অর্থ ফেরত আনেনি ক্রিসেন্ট গ্রুপ। কাগজে-কলমে তারা চামড়াজাত পণ্য রফতানি করেছে হংকং ও ব্যাংককে। সেই রফতানি বিল কিনে গ্রুপটিকে নগদে টাকা দিয়েছে ব্যাংক। এখন রফতানির টাকা ফেরত আসছে না।ব্যাংক চাপ দেওয়ায় মাঝে মধ্যে কিছু অর্থ এসেছে দুবাই থেকে। যদিও আমদানিকারক দেশ থেকেই টাকা আসার কথা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা অর্থ পাচার, মাদকসহ যেকোন ধরনের চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছি। ক্রিসেন্ট গ্রুপের বাইরে আরো দশ থেকে বারোটি মুদ্রা পাচারের ঘটনার তদন্ত করছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৯৫৬/কেএমকে