বাসস দেশ-২৮ : ৪ জেলায় ১৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান

292

বাসস দেশ-২৮
দুদক-অভিযান
৪ জেলায় ১৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান
ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে ৪ জেলায় ১৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা যথাসময়ে উপস্থিত হন না এবং বিভিন্ন খাত দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের নিকট হতে বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে, অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব অভিযোগ পেয়ে দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে কমিশনের কর্মকর্তারা আজ একযোগে রাঙামাটি, দিনাজপুর, ফরিদপুর এবং মঙ্গলবারে রাজধানী ঢাকায় এসব অভিযান চালায়।
অভিযানকালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে কাঞ্চনডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গরীবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিন্নাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নবাবগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে মোট ৬জন প্রধান শিক্ষককে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
অপরদিকে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম ফরিদপুর সদরের চারটি বিদ্যালয়ে অভিযানকালে দুদক ‘টিম টেপাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে স্কুলে অনুপস্থিত পেয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
এদিকে ফরিদপুরের বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং হালিমা গার্লস স্কুল ও কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ফি অভিভাবকদের কাছে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অপরদিকে দুদক টিম রাঙ্গামাটির রাণীদয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে ২ হাজার টাকা প্রদান ও কোচিং করতে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে। এ সময় দুদক টিম এ অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলকভাবে বেআইনি অর্থ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে মঙ্গলবার দুদকের অভিযানের পর মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে দুদক সূত্রে জানা যায়।
দুদকের আরেকটি টিম আজ তিতাস গ্যাস অফিসে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে। তিতাসের শ্রমিক নেতা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন আবাসিক ও শিল্প কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং টে¤পারিং করে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিচ্ছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ এ অভিযান চালায় দুদক।
দুদক পরিচালক মোঃ শফিকুর রহমান ভুইয়া ও পরিচালক মোঃ আবদুল গাফফারের সমন্বিত একটি টিম তিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং মিটার টে¤পারিং-এ জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা সংগ্রহ করে।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তিতাসের দুর্নীতি বন্ধে দুদক নিয়মিত নজরদারি করবে এবং অভিযান চালাবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগের দুর্নীতিতে যারা লাভবান হয়েছে, তাদের স¤পদের অনুসন্ধান করা হবে এবং দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯১০/এইচএন