সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বিজয় উৎসব’ উপলক্ষে ডিএমপি’র ট্রাফিক নির্দেশনা

392

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯(বাসস) : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১৯ জানুয়ারি শনিবার ‘বিজয় উৎসব’ উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে।
ডিএমপি আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘বিজয় উৎসব’র শুরু হবে। এ অনুষ্ঠানে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা হতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাস, ট্রেন, লঞ্চযোগে ওইদিন ভোর হতেই ব্যাপক গণজমায়েত হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, গাবতলী, মিরপুর রোড হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ সাইন্সল্যাব-নিউমার্কেট হয়ে নীলক্ষেতে নেমে পায়ে হেঁটে টিএসসি হয়ে বিভিন্ন গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বর এবং নীলক্ষেত হতে পলাশী পর্যন্ত রাস্তা উভয় পার্শ্বে এক লাইনে পার্কিং করবেন।
উত্তরা হতে এয়ারপোর্ট রোড হয়ে মহাখালী-মগবাজার-কাকরাইলচার্চ-রাজমনি ক্রসিং- নাইটেংগেল-পল্টন মোড়-জিরো পয়েন্ট অথবা খিলক্ষেত ফ্লাইওভার-বাড্ডা-গুলশান-রামপুরা রোড-মৌচাক ফ্লাইওভার-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজমনি ক্রসিং-নাইটেংগেল হয়ে পল্টনমোড়-জিরোপয়েন্ট হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ পল্টন মোড়-জিরো পয়েন্টে নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গমন করবেন এবং তাদের বাস গুলো মতিঝিল এলাকায় পার্কিং করবেন। উল্লেখ্য উত্তরা ও এয়ারপোট হতে আগত গাড়িগুলো পার্কিং স্থান মতিঝিল অথবা গুলিস্থানে সংকুলান না হলে প্রয়োজনে হাতিরঝিল এলাকায় পার্কিং করা হতে পারে।
পূর্বাঞ্চল হতে যাত্রাবাড়ী হয়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল হতে পোস্তগোলা হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নীচ দিয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ গুলিস্থানে নেমে পায়ে হেঁটে জিরো পয়েন্ট-দোয়েল চত্ত্বর হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে গমন করবেন এবং তাদের বাসগুলো মতিঝিল ও গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করবেন। যারা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে চানখারপুল হয়ে আসবেন তারা চাঁনখারপুল নেমে পায়ে হেঁটে দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাস গুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে পার্কিং করবেন।
বাবুবাজার ব্রীজ হয়ে আগত ব্যক্তিবর্গ গোলাপশাহ্ মাজারে নেমে পায়ে হেঁটে হাইকোর্ট-দোয়েল চত্ত্বর হয়ে উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন এবং তাদের বাসগুলো গুলিস্থান এলাকায় পার্কিং করবেন।
শাহবাগ হতে মৎসভবন পর্যন্ত সড়ক সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারিদিকের রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীসহ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের গমনাগমন উপলক্ষে ওইদিন ভোর হতে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশের বিভিন্ন ইন্টারসেকশন যেমন-বাংলামটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহাবাগ, কাটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বক্শিবাজার, চাঁনখারপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্টু রোড ক্রসিংগুলো হতে গাড়ি ডাইভারশন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
ডিএমপি’র ওই নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলে আগত ব্যক্তিগণ কোন প্রকার হ্যান্ডব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বা ধারালো কোন বস্তু বহন করতে পারবেন না। অনুষ্ঠানস্থলে কর্তব্যরত আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য ডিএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল এবং এর আশপাশের এলাকা দিয়ে ভারী অথবা হালকা যানবাহনসহ গমনাগমন পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।