বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি) : মাদক বিরোধী অভিযানে কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী

733

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-স: সম্মেলন প্রশ্নোত্তর
মাদক বিরোধী অভিযানে কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ মে, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানের উল্লেখ করে বলেছেন, এই অভিযানের ফলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং কাউকেই এই অভিযানে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। কোন গডফাদার বা ডন যদি থেকে থাকে তাদেরকেও না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক জনকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
তাঁর সাম্প্রতিক ভারত সফরের সাফল্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে এবং দেশের জনগণের এটা দাবি। মাদকের বিস্তার রোধে বড় বড় পত্রিকাতে এজন্য হেডলাইনও হয়েছিল, সমাজ মাদকের অধীনস্থ হয়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আমাদের কাজটা করতে দিন।’
কারা এই মাদকের গডফাদার বা ডন তাঁর জানা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলবো কে গডফাদার, কে ডন আমি কিন্তু জানি না। তবে, শুধু এটুকুই বলতে পারি-যারাই এর সঙ্গে জড়িত যাদের বিরুদ্ধে এর সঙ্গে জড়িত থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। মাদক পাচার, মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবনকারী প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
কোন কাজ শুরু করলে তা সুচারুপেই সম্পাদন করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ধরি ভাল করেই ধরি, এটাতো সকলের ভাল করেই জানা। গড ফাদার যেই হোক এবং সে যে বাহিনীতেই থাকুক তাকে কিন্তু ছাড়া হচ্ছে না। কে কার কি, কার ভাই, কার চাচা ওটা কিন্তু দেখিনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চলার সময়ও কথা উঠেছিল, কিন্তু আমরা সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। যদিও বিশ্বের অনেক সভ্য দেশে এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এখনও অব্যাহত রয়েছে।’
মাদকাশক্তিকে একটা সামাজিক ব্যাধি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মাদক পাচারকারী, ব্যবসায়ী এবং সেবনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, আমি আশ্চর্য্য হয়ে যাই এই গ্রেফতারের কথাটা কিন্তু সেইভাবে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গোয়েন্দা সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করেছে যে কারা এরসঙ্গে জড়িত। আমরা কিন্তু অপারেশনে হঠাৎ করে যাইনি। হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে হঠাৎ করে এই অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনা তা নয়। দীর্ঘদিন থেকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, দেখা হয়েছে- কারা আনে কোন কোন স্পট থেকে ঢুকছে, কোথায় তৈরী হচ্ছে কি হচ্ছে এগুলো খবর নিয়েই কিন্তু অভিযান চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরপূর্বে শুধু মাদকই ধরা হতো, সেখানে এমন কোন দিন নাই যেদিন ইয়াবা ট্যাবলেট বা মাদক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধারা পড়ে নাই। এখন ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে এবং জল পথ, স্থল পথ কোন পথই এই অভিযানের বাইরে নেই।
এই অভিযানে সাধারণ জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে না, যোগ করেন তিনি।
চলবে/বাসস/এএসজি-এফএন/এসএইচ/জিএম/২০৫০/কেএমকে