বাসস দেশ-১৮ : উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি সেবা দেবে এনপিও

316

বাসস দেশ-১৮
এনপিও-প্রশিক্ষণ
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি সেবা দেবে এনপিও
ঢাকা, ৩০ মে, ২০১৮ (বাসস) : ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি শিল্প-কারখানায় আন্তর্জাতিক মানের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কারিগরি সেবা (টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সার্ভিস -‘টিইএস’) দেবে।
সরকারি-বেসরকারি শিল্প-কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্পমন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ সংস্থাটি নাম মাত্র মূল্যে এ সেবা প্রদান করবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির উদ্দৃতি দিয়ে আজ এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এপিও) সহায়তায় এনপিও’র পক্ষ থেকে এ কারিগরি সেবা দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে।
তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হযেছে, আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রয়োদশতম সভায় কারিগরি সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাবিরুল ইসলাম, বিএসইসির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন, এফবিসিসিআই’র পরিচালক মোঃ নিজাম উদ্দিন, এনপিও’র পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামানসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায়, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপখাত-ভিত্তিক উৎপাদনশীলতার স্তর নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য সহায়তায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সঙস্থা এনপিও এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি খসড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে।
সভায় শিল্প ও সেবাখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক ধারণা প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন চেম্বার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক আলোচনাসভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, খাত ও উপখাতভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সহায়তার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও এনপিও’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, বিসিআই এবং বাপা’র সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০১৭ সালের জন্য ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিল্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান সম্পন্ন করার বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা করা হয়। এ লক্ষ্যে এনপিও’কে সময়মাফিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এনপিও প্রদত্ত কারিগরি সেবা ও প্রশিক্ষণের ফলাফল মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করার তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় শিল্পসচিব বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কৃষি, শিল্প, সেবাসহ সকল খাত ও উপখাতে যুগপৎ উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা আন্দোলন জোরদারে সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৯২০/মমআ/-আসচৌ