জয়পুরহাটে বাজারে শীতের সবজি আমদানি বৃদ্ধি দামও কম

416

জয়পুরহাট, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার হাট-বাজরে আলু, কপি, মূলা, বেগুন, ধনিয়াপাতা, গাজর, লাউসহ অন্যান্য সবজির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।
জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা যায়, কৃষকরা অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। ফলে প্রথম দিকে সবজির বাজার চড়া হলেও বর্তমানে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
জেলা শহরের সবজির পাইকারী বাজার নতুনহাটে সবজি বাজার ঘুরে জানা যায়, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকা, ফুলকপি’র পিস ৫/৬ টাকা, বাধাকপি ৬/৭ টাকা পিস, ২০ টাকা কেজি খিরা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ১২/১৫ টাকা, গাজর ১৩/১৪ টাকা কেজি, আলু এস্টরিক ১১/১২ টাকা, কারেজ ১৪ টাকা, পাকরি আলু ১৪ টাকা, পেঁপে ১২ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও ধনিয়াপাতা ৪০ টাকা কেজি, মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, পালং শাক ১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বিক্রেতা জুয়েল, একদিল হোসেন বলেন, আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি খরিপ-১, ২০১৮-১৯ ফসল চাষ মৌসুমে জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করা রয়েছে ৬ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে। সব মিলে এবার সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৬ মে.টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। জেলায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের শাক-সবজির ফলন ভালো হয়েছে। আগাম জাতের সবজি বাজারে ওঠার সময় প্রথম দিকে দাম কিছুটা চড়া থাকলেও বর্তমানে অর্ধেকের বেশি কমেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও প্রায় ১২শ হেক্টর জমি ছাড়িয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র চন্দ্র রায় বলেন, জয়পুরহাটের কৃষকরা আগাম জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমছে বলেও জানান তিনি।