প্রাক-যোগ্যতা সনদ পেল হোসেন্দি ইকোনমিক জোন

631

ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮(বাসস) : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) হোসেন্দি ইকোনমিক জোনকে প্রাক-যোগ্যতা সনদ প্রদান করেছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের ১০৮ একর জমির উপর হোসেন্দী ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বেসরকারি ভোগ্যপণ্য খাতের সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ এই জোনটি প্রতিষ্ঠা করছে।
সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হবে।এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিকভাবে দশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
সোমবার ঢাকায় বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হোসেন্দি ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শম্পা রহমানের হাতে প্রাক-যোগ্যতা সনদ তুলে দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।
এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সিটি গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে পবন চৌধুরী বলেন,অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। বেজার আওতায় স্থাপিত ভূমি ব্যাংক থেকে বিনিয়োগকারীগণ তাদের পছন্দ মাফিক ভূমি সহজে বরাদ্দ নিয়ে শিল্প কারখানা স্থাপন করতে পারছেন।
তিনি বলেন, হোসেন্দি ইকোনমিক জোন ভাল জায়গায় অবস্থিত। আশা করি সব কিছু মিলিয়ে এটি একটি ভাল ইকোনমিক জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, নতুন এই অঞ্চলে মূলত নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে এবং তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ তৈরি করা হবে।
হোসেন্দি ইকোনমিক জোনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শম্পা রহমান জানান, চীন, থাইল্যান্ড ও জাপানের বিভিন্ন বিনিয়োগকারীগণ ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখানে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হোসেন্দি ইকোনমিক জোনের উদ্যোক্তাবৃন্দ শীপ বিল্ডিং শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ইকোনমিক জোনে সিমেন্ট,সল্ট এন্ড কেমিক্যালস, শীপ বিল্ডিং এবং সিরামিক পণ্য খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প করখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাগণ পরিকল্পনা করছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অদূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১০৮ একর জমিতে এ অঞ্চলটি স্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই জোন ১৫০ একরে উন্নিত করা হবে। উদ্যোক্তাগণ এখানে ১০টি শিল্প ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন। এখানে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।
যোগাযোগের দিক থেকে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত।এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি মেঘনা নদীর তীরে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বিধায় নৌপথ ও সড়কপথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার ও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি।