বাসস প্রধানমন্ত্রী-১০ : ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ১৯৭০-এর নির্বাচনের সঙ্গে শেখ হাসিনার তুলনা

602

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১০
শেখ হাসিনা-শ্রীংলা-সাক্ষাৎ
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ১৯৭০-এর নির্বাচনের সঙ্গে শেখ হাসিনার তুলনা
ঢাকা, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, দেশের জনগণ এবার প্রতীক দেখে ভোট দিয়েছে, প্রার্থী দেখে নয়।
তিনি বলেন, ‘এটা ছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মত, জনগণ কেবল প্রতীক দেখেই তাঁদের ভোট দিয়েছে, তারা এটাও দেখেনি প্রার্থী কে ছিল। তারা নৌকাতে ভোট দিয়েছে, যেহেতু তাঁরা উন্নয়নের সুফল লাভ করেছে।’
আজ সন্ধ্যায় ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা একথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিশেষ করে বেসামরিক প্রশাসন এবং সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ডসহ সকলের সহযোগিতার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সকল দলও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।’
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্ত সমস্যা, এবং সমুদ্রসীমার সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যাবলী আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অন্যদের জন্য একটি উদাহারণ।’
ভারতের হাইকমিশনার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় ছিল বাংলাদেশের বিগত ১০ বছরের চমকপ্রদ উন্নয়নের প্রতিফলন।’
এ প্রসঙ্গে শ্রীংলা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সন্ত্রাস এবং হরতাল চায় না এবং তারা শান্তিতে বসবাস করতে চায়।
হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমে সর্বোপরি ইতিবাচক সংবাদই পরিবেশিত হয়েছে এবং সম্পাদকীয়গুলোতে নির্বাচনের প্রসংশা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করে শ্রীংলা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলের একটি পরিবর্তিত শক্তি।
‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং নারীর ক্ষমতায়নে গত কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে এবং এটা খুবই দ্রুততার সঙ্গে সংঘটিত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রসঙ্গ টেনে শ্রীংলা প্রধানমন্ত্রীর শ্লোগান- ‘ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার’-এর প্রশংসা করেন।
তিনি এদেশে তাঁর মেয়াদকালীন অবস্থানের স্মরণীয় স্মৃতি রোমন্থন করেন এবং বলেন, এ দেশের জনগণ খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডকুড্রামা’-হাসিনা: এ ডটারস টেল’ প্রত্যক্ষ করেছেন এবং এতে তিনি গভীরভাবে আলোড়িত হয়েছেন। তিনি এখানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরও পরিদর্শন করেছেন।
বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই বাংলাদেশ এবং ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামীতে আরো শক্তিশালী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং হাইকমিশনারের সহধর্র্মিনীও উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/২৩৫০/এইচএন