বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) (শেষ প্যারায় সংশোধনীসহ) : বিএনপি’র নির্বাচন বয়কটের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না : প্রধানমন্ত্রী

344

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) (শেষ প্যারায় সংশোধনীসহ)
শেখ হাসিনা-সিএমএইচ
বিএনপি’র নির্বাচন বয়কটের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই বলে বিএনপি’র অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের লেভেল প্লেইং ফিল্ডের মানে হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র লেভেল প্লেইং ফিল্ড মানে এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে করে তারা বিজয়ী হতে পারে। তাহলেই কেবল মাত্র লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরী হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে তাদের কোন চিন্তা-ভাবনা নেই।’
এক একটি আসনে ৪/৫ জন করে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,‘তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে এবং নিলামের মাধ্যমে প্রার্থীদের মাঝে আসন বন্টন করেছে। যারাই বেশি বেশি টাকা দিতে পেরেছে তারাই কেবল প্রার্থী হতে পেরেছে।’
তিনি বলেন, অনেক শক্তিশালী এবং পুরনো প্রার্থী, যাদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তারা বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পায়নি। যে কারণে তারা ক্ষুদ্ধ এবং তারা দলের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।
বিএনপি’র মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিরোধিতার কারণে যারা মনোনয়ন পেয়েছে তারা তাদের নির্বাচনী এলাকাতেই যেতে পারছে না উল্লেখ কওে শেখ হাসিনা বলেন, তারাই সংঘাতে জড়াচ্ছে এবং নিজেদের কার্যালয় নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাদের দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
‘উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো’ বিএনপি’র বিএনপি’র পুরনো অভ্যাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা এভাবেই জলঘোলা করার চেষ্টা করছে। তারা এ সমস্যায় পড়তো না, যদি না তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করতো,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা অনেক সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছি।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গ্রামের সাধারণ জনগণ এই উন্নয়নের সুফল ভোট করছে।’
‘উন্নয়নের এই ধারবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশ আরো উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী হবে, যোগ করেন তিনি।
দিনাজপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মাহবুবুর রহমানের ওপর বর্বরোচিত হামলাকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দুটি আঙ্গুল সন্ত্রাসিরা কেটে নিয়ে গেছে এবং তার মাথায় আঘাত করেছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন যেহেতু সিএমএইচ -এর উন্নত চিকিৎসা পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কি অপরাধ ছিল এই চিকিৎসকের? যখন তিনি কাজ সেরে বাসায় ফিরছিলেন, তখনই তাকে বর্বরোচিত হামলার শিকার হতে হলো। এটা একটা জঘন্য অপকর্ম।
বিএনপি-জামাতের প্রতি এই গোপন হামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানের জন্য ও বলেন।
এরআগে, প্রধানমন্ত্রী ডা. মাহবুবুর রহমানকে দেখতে গিয়ে রোগীর শয্যাপাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/২০৫৬/আরজি