বাসস দেশ-২৪ : পোস্টারে খালেদা ও তারেকের ছবি ব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিন

530

বাসস দেশ-২৪
ইসি-আওয়ামী লীগ
পোস্টারে খালেদা ও তারেকের ছবি ব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিন
ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি প্রার্থিদের পোস্টারে ব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আজ বিকেল সোয়া ৬টা থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সোয়া ৮টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম এ কথা জানান।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আইন মেনে চলার জন্য নির্বাচনের পোস্টারে শুধু দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ফটো ব্যবহার করছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ফটোও ব্যবহার করছে না। জাতীয় ঐকফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ফটো ব্যবহারের বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। খালেদা জিয়া যেহেতু কারাগারে ও বিএনপি চেয়ারপার্সন নন। তারেক জিয়া বর্তমান চেয়ারর্পাসন হলেও দন্ডিত আসামি এবং পলাতক অবস্থায় আছেন। দন্ডিত ও পলাতক আসামি হওয়ায় কোনভাবেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ফটো ব্যবহার করতে পারার কথা নয়।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচনী প্রচারে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। ভিডিও কনফারেন্সে সকল সাপোর্ট দলীয়ভাবেই নেয়া হয়। দল এবং সরকারে মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ আচরণবিধি মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করছে। অন্যদেরও আইন মেনে প্রচার চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি।
জামায়াত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ওয়েব সাইটে সেই প্রার্থিদের নাম ও পদ উল্লেখ করা আছে। কাজেই তারা অসত্য তথ্য দিয়েছে। তাই তারা প্রার্থী হিসেবে থাকতে পারেন না। আদালতও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াতে সদস্য যারা ধানের শীষে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছি।’
লাঠির ওপর ধানের শীষ নিয়ে প্রচার কাজের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমদের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এতে যেকোনো ধরনের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু বিএনপি নয়, যেকোনো দলেরই নির্বাচনী প্রচারে লাঠি বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন বস্তুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বারবার কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় কমিশনের প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থাহীনতা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আস্থাহীনতা আছে বলে মনে করি না। নির্বাচন কমিশন আদালতের মতো। সেখানে বিচারকরা যেমন নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারেন, এখানে কমিশনাররাও নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতই গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থিদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ হচ্ছে। কোথাও সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। সবকিছু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা কাউকে আক্রমণ করি না। বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা উল্টো এসে ইসিতে অভিযোগ করছে। অথচ হামলা আওয়ামী লীগের ওপরেই হয়েছে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির ওপর বেশি হামলা হচ্ছে।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/২২২০/-এইচএন