আওয়ামী লীগের ইশতেহার সুদূরপ্রসারী ও কর্মসংস্থান বান্ধব

1013

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১-এর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারকে সুদূরপ্রসারী এবং কর্মসংস্থান বান্ধব বলে অভিহিত করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
বাসস’র সাথে আলাপকালে তারা ইশতেহারকে সময়োপযোগী হিসাবে অভিহিত করার পাশাপাশি উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে এটি সহায়ক হবে উল্লেখ করে অঙ্গীকারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তাঁর দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও লাখ লাখ শহীদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং শিক্ষিত ও অসাম্প্রদায়িক জাতি গড়ে তুলতে ইশতেহারে দুইটি কৌশলগত পরিকল্পনার আওতায় ৩৩টি খাতের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ইশতেহারে আগামী ৫ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ এবং ১ কোটি ২৮ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এই ইশতেহারকে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের দলিল হিসাবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে এই ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তারা চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দেশের ভবিষ্যৎ অবস্থার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, এই ইশতেহারের মাধ্যমে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ ইস্যুগুলোকে ধারণ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এই ইশহেতারকে সময়োপযোগী ও সমন্বিত বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই ইশতেহারটি সুদূরপ্রসারী এবং কর্মসংস্থান বান্ধব। এই ইশতেহারের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির দিক-নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
ড. আতিউর বলেন, দেশের সকল খাতে স্বচ্ছতা, ন্যায়পরায়ণতা ও প্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে উচ্চতর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এই ইশতেহার সহায়ক হবে।
অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তাফা কে. মুজেরি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণতন্ত্র ও সুশাসনসহ সকল খাতে এই ইশহেতার পরিবর্তন আনবে। তিনি বলেন, ‘এই ইশতেহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আগামী বছরগুলোতে সকল ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো।’
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির জন্য এই ইশতেহারটি ইতিবাচক- কেননা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।