বাসস দেশ-১৯ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনাকে ফের নির্বাচিত করুন : বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ

546

বাসস দেশ-১৯
সম্প্রীতি-আলোচনা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনাকে ফের নির্বাচিত করুন : বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : দেশের বিশিষ্ট নাগরিকগন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো নির্বাচিত করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। রাজধানির সিরডাপ মিলনায়তনে আজ অনুষ্ঠিত ‘১৯৭১ সালে বিজয়ের পথ ধরে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তি’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
ধমর্নিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারনা হিসাবে শিক্ষাবিদ, পেশাজীবি এবং সমমনা নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টব্যাক্তিবর্গ আলোচনায় অংশ নেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব পিযুস বন্দোপধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুিষ্ঠত এই আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, জনগণকে বুঝতে হবে, দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে কোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করতে চাই।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হয়েছে। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয়ের মাধ্যমে যুব সমাজ প্রমাণ করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্মুন্নত রাখতে চায়। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই দেশকে ডিজিটালাইজ করেছেন। দেশের রিকশা চালকসহ সর্বস্তরের মানুষ এর সুফল পাচ্ছে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান আসন্ন নির্বাচনে তরুন ভোটারদের উল্লেখ করে বলেন, তারাই দলের বিজয়ের নির্ধারক হতে পারে। দেশের মোট দশ কোটি ভোটারের মধ্যে আড়াই কোটি ভোটার তরুন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। ১ কোটি ২১ লাখ ৭৭ হাজার নতুন ভোটার প্রথম বারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কোন দল ক্ষমতায় আসবে, সেটি তারাই নির্ধারন করবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার, ধর্মনিরপেক্ষ কর্মী অরিমা দত্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
বাসস/এমএমএন/অমি/২০১৫/কেএমকে