বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

291

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা-বাণী
একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের কোন বিকল্প নেই। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার কাজ করছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘সুপ্রীমকোর্ট দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মামলার দীর্ঘসূত্রিতা ও মামলাজট নিরসনের লক্ষ্যে এবং বিচারকদের কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারসহ নানাবিধ আইনি সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগসহ সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট ‘সুপ্রীমকোর্ট দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ উপলক্ষে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং বাক-স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করাই ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে জাতিকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য ও ন্যায় বিচারের এক অনন্য দলিল হিসেবে মহান সংবিধান উপহার দেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর দেশে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে। ’৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকার এবং বিএনপি-জামাত জোট সরকারের হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণেই সুবিচারের পথ রুদ্ধ হয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের দ্বার উন্মোচন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের কার্যকর ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে জাতির পিতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখায় আমাদের বিচার বিভাগ প্রশংসার দাবি রাখে। জনগণের ন্যায় বিচার পাওয়ার সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান হল সুপ্রীমকোর্ট। সুপ্রীমকোর্ট দেশের নাগরিকদের আইনগত অধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।’
বাংলাদেশের সুপ্রীমকোর্ট দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে প্রথানমন্ত্রী আশা করেন, সরকারি, বেসরকারি সকল সংস্থা, বিজ্ঞ বিচারক, আইনজীবী, নাগরিক সমাজসহ সবাইর প্রচেষ্টায় আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯২৫/-কেএমকে