নজরুল চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের সমৃদ্ধ করবে : শেখ হাসিনা

673

ঢাকা, ২৪ মে, ২০১৮ (বাসস ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করে দেশপ্রেম ও সততা দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।
তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘আগামীকাল ২৫মে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের বিস্ময়কর এক প্রতিভা জাতীয় জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানবতা ও সাম্যের কবি নজরুল, আমাদের প্রাণের কবি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল একাধারে ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও অনুবাদক। অনন্য সাধারণ লেখনীর মাধ্যমে কবি আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর রচনার বিদ্রোহী চেতনার যেমন অসামান্য রূপায়ণ ঘটেছে তেমনি প্রেম-প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে।’
নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতা ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে কবি নজরুল ছিলেন উচ্চকন্ঠ। তাঁর শিকল ভাঙ্গার গানে জেগে উঠেছিল ঝিমিয়েপড়া বাঙালি জাতি। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর লেখনী এ উপমহাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। সংগ্রাম করে প্রগতির পথে এগিয়ে চলার সাহস যুগিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন কবি নজরুল তাঁর প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে মুক্তিসংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছেন, জাগ্রত করেছেন বাঙালি জাতীয়তাবোধ। বিদ্রোহী কবির অগ্নিঝরা কবিতা ও গান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষ ও মানুুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা নজরুলকে গভীরভাবে আকর্ষণ করেছিল। এদেশের মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও প্রীতিপূর্ণ আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তাঁকে সপরিবারে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করেন। জাতির পিতা অসুস্থ নজরুলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শৌর্য-বীর্য ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মন্ত্রে উজ্জীবিত জাতীয় কবির গান ‘চল্ চল্ চল্’ বাংলাদেশের রণসঙ্গীত।
প্রধানমন্ত্রী কবি নজরুলের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।