জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষেই থাকবে : মোহাম্মদ নাসিম

719

ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : শেখ হাসিনা আবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে তার জন্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষেই থাকবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমি বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা আবার পুনঃনির্বাচিত হবেন।’
নাসিম আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাফল্যের জোয়ারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য : বিশ্বের বিস্ময়’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১০ বছরের সাফল্য নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিগত ১০ বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্জিত সাফল্যের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন সেবা সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোওয়ার প্রমুখ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নোবেল লরিয়েট ড. অমর্ত্য সেন ২০১৩ সালে লিখেছিলেন, যারা স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন তারা ভাবতেও পারেননি এই বাংলাদেশ একদিন তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সামনে এগিয়ে যাবে। যে দেশ কয়েক দশক আগে অতি দরিদ্র ছিল, তারা স্বাস্থ্যখাতসহ কয়েকটি সামাজিক সূচকে কিভাবে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করলো তা ভেবে দেখা খুবই দরকার।
বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৮-এ উন্নীত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, গড় আয়ু খাতে বাংলাদেশ আশার অতিরিক্ত অগ্রগতি অর্জন করেছে। সীমাবদ্ধ সম্পদ, দারিদ্র, জনসংখ্যার আধিক্য সত্বেও বাংলাদেশের এই অর্জন অনুকরণীয়। মূলত স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবায় সরকারি সুবিধার উৎকর্ষের কারণেই এই অর্জন।
স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ মোট ১৬টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গড় আয়ু ৭২.৮ বছর। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩৪.২ জন। গত ১০ বছরে ৭৪ ভাগ কমেছে। এক বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ৩১ জন। নবজাতক মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ১৯ জন। মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৭২। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি।