চলচ্চিত্র পরিবারের সাথে তথ্যসচিবের মতবিনিময়

697

ঢাকা, ২৩ মে, ২০১৮ (বাসস) : ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিএফডিসির সার্ভার থেকে হলগুলোতে সিনেমা পাঠানো, দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ, চলচ্চিত্র পাইরেসি বা বেআইনী নকল সিডি প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন, সিনেমা হলে ই-টিকেট প্রবর্তন, আমদানি-রপ্তানি ও যৌথ প্রযোজনায় কঠোরভাবে নীতি অনুসরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে নতুন মাত্রা আনার লক্ষ্যে চলচ্চিত্র পরিবার প্রতিনিধিদের সাথে আজ বুধবার বিকেলে তথ্যসচিব আবদুল মালেকের মতবিনিময় কালে এসব বিষয় উঠে আসে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে যোগদানের পর চলচ্চিত্র পরিবারের সাথে এটি ছিল তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা।
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ বুধবার প্রখ্যাত অভিনেতা ফারুক ওরফে আকবর হোসেন পাঠান, চিত্রনায়িকা রোজিনা, চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ চলচ্চিত্র পরিবার প্রতিনিধিদের সদস্যরা এ খোলামেলা আলোচনায় যোগ দেন।
তথ্যসচিব বলেন, ‘২০১২ সালে সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণার ফলে এ অঙ্গন কি কি সুবিধা পাচ্ছে, তা জনগণের সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। সেইসাথে হলগুলোতে সিনেমা পাঠানোর জন্য চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের সার্ভার থেকে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করলে পাইরেসিও কমিয়ে আনা সম্ভব।’
চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালনা পরিষদে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অন্তর্ভূক্তি ও কর্পোরেশনের যন্ত্রপাতির ভাড়া কমানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন সচিব আবদুল মালেক।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে।
অভিনেতা ফারুক বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিবার চায় দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ। সরকারও তাই চায়। সকলে মিলে দেশের চলচ্চিত্র ও শিল্পী-নির্মাতা-কুশলীদের বাঁচাতে হবে।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. আজহারুল হক, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন, অভিনেতা জায়েদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক খোরশেদ আলম খসরু, বদিউল আলম খোকন, জেড এইচ মিন্টু, আবু মুসা দেবু প্রমুখ সভায় অংশ নেন।