বাসস ক্রীড়া-১৪ : বাংলাদেশের ম্যাচের অনেক প্রথম

309

বাসস ক্রীড়া-১৪
বাংলাদেশ-প্রথম
বাংলাদেশের ম্যাচের অনেক প্রথম
ঢাকা, ২ ডিসেম্বর ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যার মাধ্যমে দুই টেস্টের সিরিজে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজ মাঠে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব অর্জন করল টাইগাররা।
বাংলাদেশী স্পিনাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪০ উইকেট শিকার করেছেন। লংগার ভার্সনে দুই ম্যাচ সিরিজে যা সর্বাধিক।
বাংলাদেশী স্পিনাররা দুই শেসনে স্পিনাররা ১৫ উইকেট শিকার করে পুরো ম্যাচকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার প্রেক্ষিতে প্রথমবার প্রতিপক্ষেকে ইনিংস ব্যবধানে জয় লাভ করে টাইগাররা।
ঢাকা টেস্টে জয় লাভের পর নিজ মাঠে বাংলাদেশ দলের অনেক ‘প্রথমের’ কিছু পরিসংখ্যান :
১ এই প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে কোন টেস্ট ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১১২ম্যাচের ইতিহাসে এটা টাইগার দলের ১২ত জয়। পাশাপাশি এক বছরে দ্বিতীয়বার তিন টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৪ সালে নিজ মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াউটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে চতুর্থবার হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। যার মধ্যে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার করে হোয়াউটওয়াশের কৃত্বি রয়েছে দলটির।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সিরিজ জয়:
প্রতিপক্ষ ব্যবধান টেস্ট স্বাগতিক মৌসুম অধিনায়ক
জিম্বাবুয়ে ১-০ ২ বাংলাদেশ ২০০৪/০৫ হাবিবুল বাশার
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৯ মাশরাফি
জিম্বাবুয়ে ৩-০ ৩ বাংলাদেশ ২০১৪-১৫ মুশফিকুর রহিম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ ২ বাংলাদেশ ২০১৮/১৯ সাকিব

৩৯৭ এক টেস্টে প্রথম ইনিংসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের লীড। ইতোপুর্বে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ছিল ২১৮ রানে। একই ভেন্যুতে গত মাসে গত মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা করেছির টাইগাররা। এই প্রথমবার কোন টেস্টে প্রতিপক্ষকে অফেরা অনে বাধ করলো বাংলাদেশ।
১২/১১৭ মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিং ফিগার। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে টেস্টের এক ইনিংসে দেশের হয়ে সেরা বোলিংয়ের মালিক ছিলেন তাইজুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তাইজুল। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৭/৩৬।
১২/১১৭ টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার। অবশ্য এ ক্ষেত্রে নিজের আগের রেকর্ডটিই ভেঙ্গেছেন মিরাজ। এর আগে তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল দ্ইু বছর আগে একই ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২/১৫৯। পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ইনিংসে কোন স্পিনারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারও এটি। এ ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র হিরওয়ানি। ১৮৭/৮৮ মৌসুমে ১৩৬ রানে ১৬ উইকেট শিকার রয়েছে তার।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার
খেলোয়াড় ম্যচ ফিগার ইনিংস-১ ইনিংস ২ প্রতিপক্ষ ভেন্যু মৌসুম
মিরাজ ১২/১১৭ ৭/৫৮ ৫/৫৯ ও:ইন্ডিজ মিরপুর ২০১৮/১৯
মিরাজ ১২/১৫৯ ৬/৮২ ৬/৭৭ ইংল্যান্ড মিরপুর ২০১৬/১৭
এনামুল হক জুনিয়র ১২/২০০ ৭/৯৫ ৫/১০৫ জিম্বাবুয়ে ঢাকা ২০০৪/০৫
তাইজুল ইসলাম ১১/১৭০ ৭/১০৮ ৫/৬২ জিম্বাবুয়ে সিলেট ২০১৮/১৯
সাকিব ১০/১২৪ ৫/৮০ ৫/৪৪ জিম্বাবুয়ে খুলনা ২০১৪/১৫
সাকিব ১০/১৫৩ ৫/৬৮ ৫/৮৫ অস্ট্রেলিয়া ডমরপুর ২০১৭

৯ হেটমায়ারের ছক্কা সংখ্যা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা ব্যাটসম্যানের খেতাব পেতেই পারেন শিমরোন হেটমায়ার। কারণ প্রথম ইনিংসে ৩৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী রুপে ছিলেন হেটমায়ার। ৯টি ছক্কা ও ১টি চারে ৯২ বলে ৯৩ রান করেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটা অল্পের জন্য দখলে নিতে পারলেন না হেটমায়ার। আর একটি ছক্কা হলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্টে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হতেন হেটমায়ার।
তবে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কায় রেকর্ডে যৌথভাবে আছেন হেটমায়ার। মারকুটে ওপেনার ক্রিস গেইলের পাশে নিজের নাম তুললেন হেটমায়ার। এতদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে এক টেস্টের এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডটি একাই দখলে রেখেছিলেন গেইল।
২০১০ সালে গল-এ শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪৩৭ বল মোকাবেলা করে ৩৩৩ রান করেছিলেন গেইল। এই ইনিংস খেলার পথে ৯টি ছক্কা ও ৩৪টি চার মারেন তিনি। আজ ঢাকা টেস্টে গেইলের সমান ছক্কার মালিক হলেন হেটমায়ার। তবে গেইল ৪৩৭ বল মোকাবেলা করে ৯টি এবং হেটমায়ার ৯২ বল খেলে সমানসংখ্যক ছক্কা মারেন।
৬১ সিরিজে স্পিনারদের উইকেট সংখ্যা। যেখানে বাংলাদেশী স্পিনাররা নিয়েছে ৪০টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা নিয়েছেন ২১টি। দুই টেস্টের সিরিজে এর আগে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট সংখ্যা ৬২। ২০১৬/১৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরে দুই দলের স্পিনাররা শিকার করেছিলেন ৬২ উইকেট। সব মিলিয়ে কোন সিরিজে অষ্টম বারেরর মত স্পিনাররা ৫০এর অধিক উইকেট শিকার করেছেন। যার মধ্যে ছয় বার এমন নজির সৃষ্টি হয়েছে গত দুই বছরে এবং সবই উপমহাদেশে।
দুই টেস্টের সিরিজে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট:
উইকেট স্বাগতিক প্রতিপক্ষ মৌসুম গড় স্ট্রাইক রেট ৫ বা ততোধিক
৬২ বাংলাদেশ ইংল্যান্ড ২০১৬/১৭ ২৩.৪০ ৪৫.৭ ৫
৬১ বাংলাদেশ ও:ইন্ডিজ ২০১৮/১৯ ২১.২১ ৩৮.১ ৪
৫৮ বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ২০১৭ ২৪.১৭ ৫১,২ ৫
৫৭ শ্রীলংকা দ:আফ্রিকা ২০১৮ ১৯.৯৬ ৩৯.৩ ৪
৫৫ ভারত পাকিস্তান ১৯৯৮/৯৯ ২১.৯২ ৪৭.৬ ৬
৫১ শ্রীলংকা বাংলাদেশ ২০১৬/১৭ ৩২.৭০ ৬১.১ ১
৫০ শ্রীলংকা ইংল্যান্ড ২০১১/১২ ২৬.১০ ৫৫.৫ ৫
৫০ পাকিস্তান শ্রীলংকা ২০১৭/১৮ ২৪.৪৮ ৫৪.৩ ৫

বাসস/স্বব/১৮২২/মোজা/এএমটি