জয়পুরহাট সরিষা বপনে সিডার যন্ত্রের ব্যবহার প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

405

জয়পুরহাট, ২২ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় বৃহস্পতিবার সকালে সদরের জামালপুর ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের চাষি মো. কাজিমুদ্দীনের জমিতে সারিতে সরিষা বপনে পাওয়ারটিলার চালিত সিডার যন্ত্রের ব্যবহার প্রদর্শনী ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র বাসস’কে জানায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জয়পুরহাট সদরের আয়োজনে সিডার যন্ত্রের ব্যবহার ও মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে আদর্শ কৃষক মো. আজহার আলীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছাঃ মিশু আকতার। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অমল চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সিডার যন্ত্র ব্যবহারের কৌশলগত আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সেরাজুল ইসলাম।
কৃষি বিভাগ জানায়, পাওয়ার টিলার চালিত সিডার যন্ত্র দিয়ে ধান, গম, পাট, ভূট্টা, তৈল বীজ ও ডালশস্য সারিতে বপন করা যায়। এ যন্ত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে ও সঠিক গভীরতায় সুষমভাবে বীজ বপন করে। প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় ১০-৪০ শতাংশ বীজ কম লাগে এবং ফলনও ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়। এ যন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঘন্টায় প্রায় ৪০-৬০ শতাংশ।
বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভাড়ায় যন্ত্র সেবা প্রদানের নিমিত্তে মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের চকমোহন আইপিএম সার্বিক কল্যাণ ক্লাবকে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার ধান, গম কর্তনে রিপার, ধান মাড়াই, বস্তাবন্দী করতে কম্বাইন হারভেস্টার, ধান মাড়াই, ঝাড়াই করতে পাওয়ার থ্রেসার, মিনি কাল্টিভেটর, সারিতে ধানের চারা রোপণের রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র, ধান, গম, পাট, ভূট্টা, তৈল বীজ ও ডালশস্য সারিতে বপনে সিডার যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। যে কোন কৃষক বা কৃষক গ্রুপ শ্রমিক সংকট নিরসনে ও সময়মতো ফসল বপন, রোপণ, কর্তন কার্যক্রম সম্পাদনে ভাড়ায় উল্লেখিত যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে সুফল ভোগ করতে পারছেন।
বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে চাষিরা শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকিতে যে কোন যন্ত্রের মডেল, ব্র্যান্ড নিজস্ব পছন্দের মাধ্যমে সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সিডার যন্ত্রসহ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারবেন। মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে জন প্রতিনিধি, ইউপি সদস্য, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ দেড় শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।