আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিমস্টেক ট্রেড নেগোসিয়েশনকে আরো কার্যকর করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

389

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিমস্টেক ট্রেড নেগোসিয়েশনকে আরো কার্যকর করতে হবে। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আজ রোববার ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিমস্টেক ট্রেড নেগোসিয়েটিং কামিটির দু’দিনব্যাপী ২১তম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অফ দা বিমস্টেক-এফটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে ২০০৪ সালে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন বেশ পরিচিত নাম। আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিমস্টেকের গুরুত্ব অনেক বেশি। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলে লাভবান হতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বস’ুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, বিমস্টেকের সেক্রেটারি জেনারেল মো. মহিদুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বে অফ বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভস ফর মাল্ট্রি সেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমস্টেক) এর মাধ্যমে বাণিজ্যে ১৪টি সেক্টরে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ জন্য ৬টি ওয়ার্র্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত বসে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ^ব্যাংকের তিনটি শর্ত এক সঙ্গে পূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ আরএলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা পাবে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টি করবে। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, গতবছর বাংলাদেশ ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, সেবাখাতের রপ্তানিসহ বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমান ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ ডলার মার্কিন ডলার। দেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ ভাগ।
এ সভায় বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এর ৩৫জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। রুলস অফ অরিজিন, ট্রেড ইন সার্ভিস, ইনভেস্টমেন্ট, লিগ্যাল এক্সপার্ট, কাস্টমস কো-অপারেশন, ট্রেড ফেসিলিটেশনের বিষয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ গুলো কাজ করবে।